‘তারেক রহমানের এই মুহূর্তে দেশে আসা উচিত না’
১৭ নভেম্বর ২০২৩প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যে ‘সাহস থাকলে দেশে আসার' প্রেক্ষিতে তারেক রহমানের এই মুহূর্তে দেশে আসা উচিত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সরকার যখন বিএনপিকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছে সেই পরিস্থিতিতে তার দেশে আসার কোন প্রয়োজন নেই৷''
তিনি আরও যুক্ত করেন, ‘‘যুদ্ধ, আন্দোলন সব সময় তাঁবু থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়৷ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ৷''
ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায় টক শো'তে ‘‘নির্বাচন, না মনোনয়ন'' বিষয়ক আলোচনায় অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)-র চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ এবং এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ৷
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীনের ২০১৮ এর থেকে ২০২৪ এর নির্বাচন আলাদা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘‘২০১৮ এর নির্বাচন ভালো হয়েছে৷ ২০২৪ এর নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক এবং নিরপেক্ষ হবে৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে বদ্ধপরিকর৷''
তার প্রেক্ষিতে পার্থ বলেন, ‘‘পৃথিবীতে যদি কোন খারাপ নির্বাচন হয়ে থাকে ২০১৮ সালে এর চেয়ে জঘন্য নির্বাচন হয়েছে৷''
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ব্যবসায়ীদের সমর্থনের কারণ জানতে চাওয়া হলে এ কে আজাদ বলেন, ‘‘দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে, উন্নয়ন হয়েছে৷ আমাদের এটা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে৷''
প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
ব্যাংকিং সেক্টরের বিশৃঙ্খলা এবং ঋণ খেলাপির ব্যাপারে আন্দালিব পার্থ বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের মাঝে ছোট ছোট মাফিয়া আছে৷''
বিএনপি ২৮ অক্টোবর কোন ভুল করেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার পার্থ বলেন, ‘‘বাংলাদেশের পুরো রাজনীতিটাই বন্ধ হয়ে গেছে৷ এতো বড় সমাবেশে কোন দলের মারামারি করার ইচ্ছা থাকে না৷ পুলিশ প্রথম সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে৷ কিন্তু জনগণ যখন হাতছাড়া হয়ে যায় তখন কিছু করার থাকে না৷''
রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও রাজপথের আন্দোলনে নিজের এবং তার দলের অনুপস্থিতির বিষয়ে পার্থ বলেন, ‘‘আমরা সেভাবে একুইপড না৷ তার মানে এই না যে আমরা আন্দোলনে নামবো না৷''
ব্যবসা-বাণিজ্যের উপর চলমান অবরোধের প্রভাবের বিষয়ে এ কে আজাদ বলেন, ‘‘মোট বৈদেশিক মুদ্রার ৮৬% আসে রপ্তানি থেকে৷ ক্রেতারা তাদের অর্ডার পাশের দেশে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছেন৷''
জ্বালাও পোড়াও রাজনীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘এই সময়ে এসে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আমাদের৷''
সবাই যদি প্রধানমন্ত্রীর তোষামোদ করেন তাহলে প্রেশার গ্রুপ কারা হবে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীনের এই প্রশ্নের উত্তরে এ কে আজাদ বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের সব সময় সরকারের সাথে কাজ করতে হয়৷ ব্যবসায়ীদের নিজস্ব কোন দল নাই৷ যেই সরকার থাকে তাদেরকে সহযোগিতা করাই আমাদের কাজ৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে আমরা যা পেয়েছি তা আর কেউ করতে পারেনি৷''
এসএইচ/এআই