তাইওয়ানে ফের চীনের যুদ্ধবিমান
তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে আবার ঢুকে পড়ল চীনা যুদ্ধবিমান। রোববার মোট ২৭টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানে যায় বলে অভিযোগ।
এবার ২৭টি যুদ্ধবিমান
মোট ২৭টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে ঢুকে পড়ে। এর মধ্যে ছিল ১৮টি যুদ্ধবিমান, পাঁচটি পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম বিমান এবং একটি রিফুয়েলিং বিমান।
তাইওয়ানও যুদ্ধবিমান পাঠায়
চীনের যুদ্ধবিমানগুলিকে সাবধান করে দিতে তাইওয়ানের যুদ্ধবিমানও উড়ে যায়। ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকেও চূড়ান্ত সতর্ক করে দেয়া হয়।
মার্কিন প্রতিনিধিদল
তাইওয়ানে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল ঘুরে গেছে। আবার একটি প্রতিনিধিদল আসছে। তার আগে চীন আবার যুদ্ধবিমান পাঠালো। উপরের ছবিটি মার্কিন প্রতিনিধি মার্ক টাকানোর সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের বৈঠকের।
ইইউ প্রতিনিধিদলের সময়েও
এর আগে ইইউ প্রতিনিধিদল যখন তাইওয়ান সফরে গিয়েছিল, তখনও চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে ঢুকে পড়েছিল। উপরের ছবিটি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইইউ-র প্রতিনিধিদলের।
চীনের দাবি
চীন দাবি করে, তাইওয়ান তাদের এলাকা। ফলে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল চীনকে এড়িয়ে তাইওয়ানে গেলে তারা তা পছন্দ করে না। তাই বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল আসার আগে ও পরে তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে যুদ্ধবিমান পাঠাতে দেখা গেছে চীনকে।
অ্যামেরিকা-চীন বিরোধ
ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলেই চীনের সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক খারাপ হয়। তাইওয়ান নিয়েও দুই দেশের মতবিরোধ আছে। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেও তার বিশেষ উন্নতি হয়নি। একবার দুই দেশের বৈঠক হয়েছে। বাইডেন ও শি-র মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে, কিন্তু বরফ গলেনি। উপরের ছবিটি বাইডেনের আমলে দুই দেশের মুখোমুখি বৈঠকের।
অ্যামেরিকার বক্তব্য
অ্যামেরিকা সম্প্রতি জানিয়েছে, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীন যেন কোনো অভিযান না চালায়। তাহলে অ্যামেরিকাও চুপ করে বসে থাকবে না। কারণ, তাইওয়ানকে সুরক্ষা দেয়ার ব্যাপারে তারা দায়বদ্ধ। উপরের ছবিতে এফ১৬ভি যুদ্ধবিমান পরিদর্শন করছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট।
চীন যা বলেছে
চীনের এক সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের নৌ ও বিমান বাহিনী তাইওয়ান প্রণালীতে সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। ভবিষ্যতে এই ধরনের আরো মহড়া হবে। কারণ, কোনো বহিঃশত্রু এই অঞ্চলে আচমকা হামলা করলে চীনা সেনা যাতে তার প্রতিরোধ করতে পারে, সেজন্যই এই মহড়া হচ্ছে।