1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপ ছাড়তে চাইছে তরুণরা

মাইকেল হার্টলেব / এসিবি৩ জুলাই ২০১৩

জার্মানি আর ইংল্যান্ড এখনো স্বপ্নের দেশ৷ এখনো ভাগ্যান্বেষণের জন্য ভালো ঠিকানা৷ কিন্তু মন্দার কবলে নাজেহাল দেশগুলোর তরুণরা এখন এই দুটো দেশেও ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন না৷ তাই যেতে চাইছেন ল্যাটিন অ্যামেরিকায়!

https://p.dw.com/p/191BO
Das Programm des Bundesarbeitsministeriums "Mobipro-EU", mit dem junge EU-Ausländer eine Berufsausbildung in Deutschland beginnen können.

অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়া ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে স্পেন আর গ্রিসের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ৷ এলেনা সিলভেস্ত্রা স্পেনেরই মেয়ে৷ মাদ্রিদে থাকেন৷ আইন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মাস্টার্স করেছেন৷ বয়স ২৫৷ এ বয়সে কর্মজীবনে ব্যস্ত থাকার কথা৷ কিন্তু চাকরি করলে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করেও পাবেন বড়জোর ৩০০ ইউরো৷ এ টাকায় কী চলা যায়! এলেনা তাই ফিরে গেছেন মা-বাবার কাছে৷ বেকার জীবন৷ তাঁর সমস্ত খরচ বহন করেন বাবা-মা৷ হতাশা কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে এলেনাকে৷

ARCHIV - Junge Demonstranten, die zur Bewegung "15-M" gehören, sitzen auf einem Platz in Madrid, Spanien, am 14.05.2012. Europa steckt noch tief in der Krise, auch wenn mancherorts Entwarnung gegeben wird. Die Länder im Süden wollen Hilfe im Kampf gegen Rezession und Arbeitslosigkeit. Foto: Javier Lizon/dpa (zu dpa-KORR «Europas Süden pocht beim EU-Gipfel auf Hilfe» vom 25.06.2013) +++(c) dpa - Bildfunk+++
ইউরোপে বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/dpa

ইউরোপে এ মুহূর্তে এমন বেকার আছে ৫৬ লক্ষ৷ বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ মন্দা শুরুর পর থেকে কয়েক বছরে বেকারত্বের হার শতকরা ১৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৩৷ ভয়াবহ অবস্থা৷ ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের প্রভাষক কনস্টান্টিন গুর্দগিয়েভ মনে করেন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে৷ লন্ডন, প্যারিস এবং স্টকহোমের তরুণদের মধ্যে চরম হতাশা লক্ষ্য করেছেন তিনি৷ অর্থনীতির প্রভাষক গুর্দগিয়েভের আশঙ্কা, হতাশা থেকে তরুণরা একসময় চরমপন্থী রাজনীতিতেও জড়িয়ে পড়তে পারে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়ন হালে বেকারত্ব কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে৷ সোমবার জার্মানির রাজধানী বার্লিনে অনুষ্ঠিত সভায় বেকারত্ব দূর করার জন্য চার মাসের মধ্যে এক বিশেষ প্রকল্প শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০০ কোটি ডলার৷ কিন্তু সমস্যার তুলনায় টাকার অঙ্কটাকে খুবই কম মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা৷

এমন উদ্যোগ এলেনা সিলভেস্ত্রাকেও আশ্বস্ত করতে পারেনি৷ তাই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে তিনি এখন মরিয়া৷ শিগগিরই স্পেন ছাড়বেন৷ এ অবস্থায় স্পেনের তরুণরা এতদিন ভালো কাজের আশায় জার্মানি আর ইংল্যান্ডেই বেশি গিয়েছে৷ এলেনা সেটা জানেন৷ আর জানেন বলে ইউরোপের অন্য কোনো দেশ তো নয়ই, জার্মানি বা ইংল্যান্ডও তাঁর কাছে আর ভরসার জায়গা নয়৷ জানালেন, ‘‘খুব তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি না বদলালে আমি দেশ ছাড়বো৷ ইংল্যান্ড ও জার্মানিতে যেহেতু স্পেনের মানুষ প্রচুর গিয়েছে, আমি তাই ল্যাটিন অ্যামেরিকার কোনো দেশে চলে যাবো৷'

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য