1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পরেও বেপরোয়া ট্রাম্প

১৯ এপ্রিল ২০১৯

বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের রাশিয়া কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্টের পরিমার্জিত সংস্করণ প্রকাশ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল৷ বিরোধীরা তার ভিত্তিতে প্রেসিডেন্টকে আরো বেকায়দায় ফেলতে বদ্ধপরিকর৷

https://p.dw.com/p/3H4Dk
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Getty Images/M. Wilson

অবশেষে প্রকাশ্যে এলো ৪৪৮ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্ট৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে যড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন কিনা এবং সে বিষয়ে তদন্তে বাধা দিয়েছিলেন কিনা, সে বিষয়ে প্রায় ২২ মাস ধরে তদন্ত চালিয়েছেন স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মালার৷ রিপোর্ট চূড়ান্ত হবার পর মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার একটি সারাংশ প্রকাশ করেছিলেন৷ তাতে তিনি প্রেসিডেন্টকে যতটা সম্ভব আড়াল করে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করেন৷

ট্রাম্প নিজেকেও সম্পূর্ণ নির্দোষ হিসেবে তুলে ধরেন৷ কিন্তু বিরোধীরা মূল রিপোর্ট প্রকাশের জন্য চাপ দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে সেটি প্রকাশ্যে আনতে হয়৷ তবে তার আগে রিপোর্টের অনেক অংশ গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নেন অ্যাটর্নি জেনারেল৷ বৃহস্পতিবার রিপোর্ট প্রকাশের আগে ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন করে রিপোর্টের প্রেক্ষাপট তুলে ধরার চেষ্টা করেন তিনি৷

মূল রিপোর্টে ট্রাম্প সম্পর্কে কী জানা গেল? সব প্রশ্নের জবাব সাদা-কালোয় পাওয়া না গেলেও ধূসর অংশের মধ্যে অনেক ইঙ্গিত রয়েছে৷ মালার তাঁর তদন্তে সরাসরি ট্রাম্পকে অপরাধী প্রতিপন্ন করতে পারেননি বটে, কিন্তু তাঁর আচরণের অসংখ্য দৃষ্টান্ত তুলে ধরে তিনি গোটা বিষয়টা ঘিরে প্রেসিডেন্টের মনে আশঙ্কা ও ত্রাস সম্পর্কে এক সার্বিক চিত্র তুলে ধরেছেন৷ রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প টিমের যোগাযোগ ও তদন্তে বাধার প্রচেষ্টার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে রিপোর্টে৷

তদন্তের শুরু থেকে ট্রাম্প চরম অস্বস্তি ও আতঙ্কে ভুগেছেন৷ তাঁর সহযোগীরা একদিকে তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন, অন্যদিকে তাঁর অনেক নির্দেশ পালন না করে তাঁকে আরো বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন৷ এমনকি খোদ মালারকে বরখাস্তও করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প৷ ফলে তদন্তকারী হিসেবে মালার অনেক তথ্য-প্রমাণের নাগাল পাননি৷ সাক্ষীদের মিথ্যা বয়ানও তাঁর কাজ কঠিন করে তুলেছে৷ খোদ প্রেসিডেন্ট সরাসরি তাঁর জেরার মুখে পড়তে চাননি৷ ট্রাম্প অপরাধ করেছেন কিনা, সেই মূল্যায়ন তিনি সংসদের হাতেই ছেড়ে দেবার ইঙ্গিত দিয়েছেন৷

তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা আরো তৎপর হয়ে উঠছে৷ সম্পূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশের দাবির পাশাপাশি তাঁরা মার্কিন কংগ্রেসে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আরো পদক্ষেপ নেবার তোড়জোড় করছেন৷ আগামী ২৩শে মে-র মধ্যে সরাসরি রবার্ট মালারকে তলব করে তাঁর বয়ানও শুনতে চান ডেমোক্র্যাটরা৷ ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পকে অপরাধী প্রতিপন্ন করতে না পারলেও তাঁর ভাবমূর্তির আরো ক্ষতি করতে পারে বিরোধীরা৷  প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রচেষ্টা থেকে তাঁর বিরুদ্ধে আরো তদন্ত চালানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন ডেমোক্র্যাটিক দলের সংসদ সদস্যরা৷

বৃহস্পতিবার মালার-রিপোর্ট প্রকাশের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টির ইতি টানার চেষ্টা করেছেন৷ সপ্তাহান্তের ছুটি কাটানোর আগে তিনি বলেন, ‘‘খেলা শেষ হয়ে গেছে৷ এবার কাজে ফেরার পালা৷'' কিন্তু ওয়াশিংটনের ঘটনাপ্রবাহ যে তেমনটা হতে দেবে না, সে বিষয়ে তিনি সচেতন বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ তার উপর নিজের রিপাবলিকান দলের সংসদ সদস্যরা কতটা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রেসিডেন্টের পাশে থাকবেন, তা নিয়ে ট্রাম্পের দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)