1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গাদের ওপর তদন্ত!

২১ মার্চ ২০১৭

অং সান সুচি গঠিত একটি তদন্ত কমিটি সোমবার বাংলাদেশের দু'টি অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছে৷ পরিচয় প্রকাশ হওয়ার ভয়ে পর্দার আড়ালে থেকে কথা বলেছেন রোহিঙ্গারা৷

https://p.dw.com/p/2ZcRf
Bangladesch Rohingya Flüchtlinge in Kutupalong Flüchtlingslager
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury

মিয়ানমারের ১০ সদস্য বিশিষ্ট ঐ তদন্ত দলের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস এই তথ্য জানান৷ তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মিয়ানমারে ফিরে গেলে নির্যাতনের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষরা মুখোমুখি কথা বলতে রাজি হননি৷ তাই পর্দার আড়ালে থেকেই ধর্ষণ, শিশু হত্যা, গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ার মতো নিপীড়নের কথা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা৷ প্রায় ৩৫ জন রোহিঙ্গা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানান৷

তদন্তকারীরা অবশ্য গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি৷

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হওয়ার আশঙ্কায় গত কয়েকমাসে প্রায় ৯০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷

এদিকে, আগামী মাস থেকে বাংলাদেশে সাইক্লোন মরসুম শুরু হচ্ছে৷ সেই সময় অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা বিপদে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রেডক্রস৷ এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, অনেক শরণার্থী ‘অপরিকল্পিত' উপায়ে গড়ে ওঠা অস্থায়ী শিবিরগুলোতে আছেন, যেখানে অল্প জায়গায় অনেককে ঠাসাঠাসিভাবে থাকতে হচ্ছে৷ এ সব ক্যাম্পে পর্যাপ্ত খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও জরুরি ওষুধের অভাবও আছে বলে জানিয়েছে রেডক্রস৷ ‘‘রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা করা দরকার, কেননা সামনে বন্যা ও সাইক্লোনের সময় আসছে'', বলেন ‘ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিস'-এর বাংলাদেশ প্রধান আজমত উল্লাহ৷

এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে সাইক্লোন মরসুম ধরা হয়৷ এই সময় দুর্যোগের আভাস পেলে মাঝেমধ্যেই উপকূলীয় এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে হয়৷

জেডএইচ/ডিজি (এপি, থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান