রোহিঙ্গাদের ওপর তদন্ত!
২১ মার্চ ২০১৭মিয়ানমারের ১০ সদস্য বিশিষ্ট ঐ তদন্ত দলের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস এই তথ্য জানান৷ তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মিয়ানমারে ফিরে গেলে নির্যাতনের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষরা মুখোমুখি কথা বলতে রাজি হননি৷ তাই পর্দার আড়ালে থেকেই ধর্ষণ, শিশু হত্যা, গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ার মতো নিপীড়নের কথা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা৷ প্রায় ৩৫ জন রোহিঙ্গা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানান৷
তদন্তকারীরা অবশ্য গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি৷
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হওয়ার আশঙ্কায় গত কয়েকমাসে প্রায় ৯০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷
এদিকে, আগামী মাস থেকে বাংলাদেশে সাইক্লোন মরসুম শুরু হচ্ছে৷ সেই সময় অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা বিপদে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রেডক্রস৷ এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, অনেক শরণার্থী ‘অপরিকল্পিত' উপায়ে গড়ে ওঠা অস্থায়ী শিবিরগুলোতে আছেন, যেখানে অল্প জায়গায় অনেককে ঠাসাঠাসিভাবে থাকতে হচ্ছে৷ এ সব ক্যাম্পে পর্যাপ্ত খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও জরুরি ওষুধের অভাবও আছে বলে জানিয়েছে রেডক্রস৷ ‘‘রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা করা দরকার, কেননা সামনে বন্যা ও সাইক্লোনের সময় আসছে'', বলেন ‘ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিস'-এর বাংলাদেশ প্রধান আজমত উল্লাহ৷
এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে সাইক্লোন মরসুম ধরা হয়৷ এই সময় দুর্যোগের আভাস পেলে মাঝেমধ্যেই উপকূলীয় এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে হয়৷
জেডএইচ/ডিজি (এপি, থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)