ঢাকায় হাজারিবাগের ট্যানারি বিষ ছড়াচ্ছে
৫ মার্চ ২০১০সকালে কারখানায় কাজ করতে গেলে শ্রমিকরা বিষক্রিয়ার শিকার হন৷ অনেকদিন ধরেই তারা আতংকে ছিলেন৷ কারখানার ম্যানেজার মাহমুদু্ন্নবি কোন ট্রিটমেন্ট প্লান্ট না থাকার কথা স্বীকার করলেও এই মৃত্যুকে তিনি স্বাভাবিক দুর্ঘটনা বলেই মনে করেন৷
হাজারিবাগের এই ট্যানারিগুলো চলতি বছরের ২৮শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সাভারে স্থানান্তরের কথা ছিল৷ আদালত জনবহুল এলাকায় এধরণের শিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে৷ তারপরও তা বাস্তবায়িত হয়নি৷ বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের নেতা ড. ইকবাল হাবিব বলেন, জনবহুল এরাকায় এধরণের শিল্প হতে পারেনা ৷ তিনি অবিলম্বে হাজারিবাগ থেকে ট্যানারি সরিয়ে নেয়ার দাবি জানান৷
হাজারিবাগে মোট ২শ' ট্যানারি বা চামড়া শিল্প রয়েছে৷ এসব ট্যানারিতে কমপক্ষে ৩০ ধরণের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়৷ পরিবেশ অধিদফতরের হিসেব মতে, এসব ট্যানারি থেকে প্রতিদিন ২২ হাজার কিউবিক মিটার বিষাক্ত তরল বর্জ্য যায় বুড়িগঙ্গা নদীতে৷ আর কঠিন বর্জ্য হয় ১০০ টন৷ যা শুধু কারখানায় কর্মরত শ্রমিকই নয় পুরো ঢাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে৷
ইবাল হাবিব জানান, ট্যানারির কঠিন বর্জ্য পুড়িয়ে পোল্ট্রি ফিড উৎপাদন করায় পরিবেশ দূষনের মাত্রা আরো বেড়ে গেছে৷ তিনি জানান, ট্যানারির ২০ হাজার শ্রমিক রীতিমত বিষাক্ত পরিবেশে কাজ করেন৷ আর মাত্র ৩০টি ট্যানারির ট্রিটমেন্ট প্লান্ট রয়েছে৷
প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক