ঢাকায় ভয়াবহ আগুন, রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
৪ জুন ২০১০বৃহস্পতিবার রাতে পুরনো ঢাকার নিমতলী এলাকায় একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে আগুনের শুরু৷ আর সেই আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের ভবন আর কাঁচা ঘর বাড়িতে৷ ৮টি ভবন আর আশপাশের কাচা ঘর জ্বলতে থাকে দাউ দাউ করে৷ আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়৷
বাড়িঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেও অনেকে ব্যর্থ হন৷ ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতা শুরু হয় কমপক্ষে এক ঘণ্টা পর৷ ততক্ষণে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে৷
আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর স্বাভাবিক কারণেই ওই এলাকার গ্যাস আর বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়৷ কিন্তু তাও সৃষ্টি করে নতুন সংকট ৷ ফলে এলাকার মানুষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়৷
রাত ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করতে সক্ষম হন৷ আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে শুরু হয় লাশের মিছিল৷ শুক্রবার ভোর পর্যন্ত কমপক্ষে দেড়শ' লাশ উদ্ধার করা হয় – তাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু৷ তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সরকারিভাবে ১০৯টি মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন৷ ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আবু নাইম মমিনুর রহমান জানান, সরু গলি আর পানির অভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের বেগ পেতে হয়৷
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গির কবির নানক জানান, ঐ এলাকার কেমিক্যাল কারখানার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন৷ বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান৷ ঢাকা মেডিক্যালে দু'শতাধিক আহতকে ভর্তি করা হয়েছে৷
এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন৷ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে ৷ ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে৷
প্রতিবেদন : হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন