ঢাকায় ভিক্ষুক জরিপ নিয়ে বিতর্ক
১ অক্টোবর ২০১১তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, আইন সংশোধন না করে ভিক্ষুক জরিপ করলে ভিক্ষুকরা বিপাকে পড়বেন৷ কারণ ভিক্ষুকদের গ্রেফতারের জন্য আইন রয়েছে৷
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা কমপক্ষে ৪ লাখ৷ আর এদের বড় একটি অংশ অবস্থান করছে রাজধানী ঢাকায়৷ তাই রাজধানী ঢাকাকে মোট ১০টি জোনে ভাগ করে ৪০০টি স্পটে শুক্রবার থেকে ভিক্ষুক জরিপের কাজ শুরু করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়৷ কিন্তু এই জরিপের বিরোধিতা করেছে কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন৷ কারণ ডিএমপি অধ্যাদেশে ভিক্ষাবৃত্তি বেআইনী৷ তাই কেউ তালিকাভুক্ত ভিক্ষুক হলে সে পুলিশি হয়রানির শিকার হতে পারে৷ যেমন বললেন মানবাধিকার নেত্রী ব্যারিস্টার সারা হোসেন৷
মন্ত্রনালয় এবং তাদের তালিকাভুক্ত বিভিন্ন এনজিওর কর্মীরা ঢাকা শহরের মোট ১০ হাজার ভিক্ষুককে তালিকাভুক্ত করবে৷ তাদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২ হাজার ভিক্ষুকের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হবে৷ সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ বলেন, আতঙ্কের কোন কারণ নেই৷ পুলিশ তাদের গ্রেফতার করবেনা৷ আর তাদের ভিক্ষুক নয়, অসহায় মানুষ হিসেবে তালিকাভূক্ত করা হচ্ছে৷
জরিপে ভিক্ষুকদের ৪ ভাগে ভাগ করা হচ্ছে৷ প্রতিবন্ধী, শিশু ও মহিলা, পেশাদার এবং মৌসুমী৷ মানবাধিকার নেত্রী এ্যাডভোকেট এলিনা খান জানান, অনেককেই ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়৷ তাই ভিক্ষাবৃত্তির নেপথ্যে থাকা সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে৷
এই জরিপের কাজ শেষ করে ১৮ই অক্টোবর রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হবে৷ তবে জরিপ বন্ধে কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের রিটের ওপর আদালত আদেশ দেবেন ৪দিন পর ২৩শে অক্টোবর৷ এদিকে জরিপে শুক্রবার যেসব ভিক্ষুক নাম লিখিয়েছেন তাদের কথা ভাল কোন কাজ দিলে তারা ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দেবেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন