ঢাকায় জার্মান ট্রেড শো'র উদ্বোধন - বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং-এর ডাক
২৭ অক্টোবর ২০১১সকালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয় ৩ দিনের দ্বিতীয় জার্মান ট্রেড শো৷ ট্রেড শোর উদ্বোধন করেন বণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান৷ তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জার্মানির সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক৷ ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল৷ আর এখন জার্মানি বাংলাদেশের বৃহত্তম রফতানির দেশ৷ জার্মানির সঙ্গে শুধু বাণিজ্য নয় রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও উন্নয়নের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করতে হবে৷ আর এই ট্রেড শোর মধ্য দিয়ে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা যেমন পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন৷ জানতে পারবেন নিজেদের৷ তিনি বলেন, বিশ্ব মন্দায় বাংলাদেশ ও জার্মানি এক সঙ্গে কাজ করতে পারে৷
বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বিজিসিসিআই'এর সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, গত ৬ মাসে দু'দেশের বাণিজ্য বেড়েছে ৫০ ভাগ৷ আর শুধু বাংলাদেশের বাণিজ্য বেড়েছে ৫২ ভাগ৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশ জার্মানিতে ৩য় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ৷ আগে এই অবস্থান ছিল ৭ম৷
অনুষ্ঠানে জার্মান রাষ্ট্রদূত হলগার মিশায়েল বলেন, রাজনীতি এবং অর্থনীতি এক সঙ্গে চলে৷ তাই রাজনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় না হলে অর্থনৈতিক সম্পর্কও সুদৃঢ় হয়না৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও জার্মানির সম্পর্ক এখন একটি চমৎকার সময় অতিক্রম করছে৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক জার্মানি সফর এবং আগামী নভেম্বরে জার্মান রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন৷
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ' শিরোনামে একটি মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইংরেজি দৈনিক ডেইলি ষ্টার সম্পাদক মহফুজ আনাম৷ বল হয় বাংলাদেশ শুধু টি শার্ট নয়, জাহাজও তৈরি করে৷ সময় এখন বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং'এর৷
জার্মান ট্রেড শোতে জার্মানির মোট ১০০টি শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ষ্টল দিয়েছে৷ ট্রেড শো চলাকালে প্রতিদিনই দুই দেশের শিল্প-বাণিজ্য, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা বিষয় নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে৷ ট্রেড শো শেষ হবে ২৯শে অক্টোবর৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক