আন্দোলন তীব্র করতে চায় বিএনপি
১৮ জুলাই ২০১৪বিএনপি-র নীতি নির্ধারকরা মনে করেন, ঢাকায় আন্দোলন জমানোই মূল কাজ৷ ঢাকার বাইরে যদি আন্দোলন তীব্রও হয়, তার পরও রাজধানীতে আন্দোলন না জমলে তা কাজে আসে না৷ বিএনপি মনে করে, ৫ই জানুয়ারির আগে ও পরে ঢাকার বাইরের আন্দোলন বেশ ভালোই হয়েছে৷ ঢাকা ছাড়া দেশের অন্যান্য বিভাগ এবং জেলায় সরকারকে কোণঠাসা করা সম্ভব হয়েছিল৷ কিন্তু ঢাকায় আন্দোলন জোরদার করতে না পারায় সরকার ভালোভাবেই টিকে গেছে৷ তাই ঈদের পরে সরকার বিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করতে ঢাকা মহানগর বিএনপি-কে শক্তিশালী করা হচ্ছে৷
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার রাতে তার গুলশানের কার্যালয়ে দলের কয়েকজন নীতিনির্ধারকের সঙ্গে বৈঠক করে ঢাকা মহানগর কমিটি মোটামুটি চূড়ান্ত করে ফেলেছেন বলে জানা গেছে৷
তাতে বিএনপি-র স্থায়ী কমিটির সদস্য ঢাকার সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাসকে ঢাকা মহানগর বিএনপি-র আহ্বায়ক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ বিএনপি চেয়ারপার্সনের আরেক উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুকে করা হতে পারে যুগ্ম আহ্বায়ক৷ স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং গত কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালামও নতুন কমিটিতে থাকছেন৷
বিএনপি-র একজন শীর্ষ নেতা জানান, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ওমরাহ করতে শনিবার সৌদি আরবের পথে রওনা হচ্ছেন৷ তারপর নতুন আহ্বায়ক কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে৷
আর বিএনপি-র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু ডয়চে ভেলেকে জানান, নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার আগেই যতদূর সম্ভব সব পর্যায়ের কমিটি শক্তিশালী করা হবে৷ এই কমিটিতে তারাই ঠাঁই পাচ্ছেন, যারা বিগত আন্দোলনে অগ্রভাগে ছিলেন এবং ভবিষ্যতের আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন৷
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপি-র নীতি নির্ধারকরা অতীতের আন্দোলন এবং তার প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করেছেন৷ কার কী ভূমিকা ছিল এবং কৌশলগত দিকও বিবেচনা করেছেন৷ আর তাতে মনে হয়েছে, ঢাকার আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে হলে আন্দেলনের জন্য সামর্থ্যবান নেতৃত্ব প্রয়োজন৷
তিনি বলেন, ‘‘সাংগঠনিক শক্তি মজবুত না হলে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন৷ এই সরকারকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে৷ তারা এই সরকারকে আর চায় না৷ বিএনপি তাই জনগণকে সংগঠিত করে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে৷''
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে ঢাকা মহানগর বিএনপি-র প্রধান সাদেক হোসেন খোকা বিগত আন্দোলনে ব্যর্থতার কারণে পদত্যাগে বাধ্য হন৷