1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঢাকার দু’টি আসনে বিহারীদের ভোট রাখবে বড় ভূমিকা

সমীর কুমার দে, ঢাকা২৭ ডিসেম্বর ২০০৮

বাংলাদেশে তারা ‘বিহারী’ নামেই বেশী পরিচিত৷ এবার সেসব আটকে পড়া পূর্ণ বয়স্ক পাকিস্তানীরা প্রথববারের মত ভোটার হয়েছেন৷ পেয়েছেন জাতীয় পরিচয় পত্র৷ ঢাকার নির্বাচনে এই নতুন ভোটাররা এবার গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখবে৷

https://p.dw.com/p/GNkg
বিহারীদের ভোট এবার প্রার্থীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণছবি: Mustafiz Mamun

ঢাকা ১৬ (পল্লবী) ও ঢাকা ১৩ (আদাবর মোহম্মদপুর) আসনে বিহারীদের ভোট এবার প্রার্থীদের জয়পরাজয় নির্ধারণে বড় ভুমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ নির্বাচন কমিশনের তালিকা অনুযায়ী এই দু'টি আসনে বিহারীদের ভোট ৭৫ হাজারের মতো৷ আসন দু'টিতে মহাজোট ও চারদলীয় জোট প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিহারীদের ভোট নেওয়ার শেষ চেষ্টা করছেন৷ প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে তাদের স্থায়ী বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা সহ সব ধরনের নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে৷

স্ট্র্যান্ডেড পাকিস্তানিজ জেনারেল রিপ্যাট্রিয়েশন কমিটি (এসপিজিআরসি) এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জাব্বার ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, সামান্য সংখ্যক বিহারী এবার ভোটার হয়েছেন৷ তারা নিজেরাই আগ্রহ দেখাননি ভোটার হতে৷ কারণ সরকার তাদের সঙ্গে কোন চুক্তি করেনি৷ আবদুল জাব্বার বলেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার সব নিশ্চয়তা দিয়ে চুক্তি করলে তারা ভোটার হবেন৷ এছাড়া অনেকেই পাকিস্তানে ফিরে যেতে চান৷ তাদের সেই ব্যবস্থা করতে হবে৷ তবে আবদুল জাব্বারের এই বক্তব্যের সত্যতা মেলেনি নির্বাচন কমিশনের করা ভোটার তালিকায়৷ তালিকা অনুযায়ী পল্লবীর বিহারী ক্যাম্পে মোট ভোটার ২৯,০০০৷ আর পুরো পল্লবী এলাকায় উর্দুভাষী ভোটার ৫৫,০০০৷ অন্যদিকে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের ভোটার সংখ্যা সাড়ে সাত হাজার এবং মোহাম্মদপুরে উর্দুভাষী ভোটার ২০,০০০৷ ফলে পূর্ণবয়স্ক প্রত্যেক বিহারী যে এবার ভোটার হয়েছে তা তালিকা দেখেই অনুমেয়৷

Bangladesch Wahlen 2008
ঢাকা শহর ছেয়ে গেছে এমন নির্বাচনী পোস্টারেছবি: Mustafiz Mamun

পল্লবীর বিহারী ক্যাম্পের এসপিজিআরসির সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আলম ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, তাদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সরকারের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য ভুল তথ্য দিচ্ছেন৷ এবার তার ক্যাম্পের পূর্ণ বয়স্ক সকলেই ভোটার হয়েছে বলে জানান তিনি৷ সাব্বির আলম বলেন, বিহারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তারা ‘আওয়ামী লীগ বিরোধী'৷ কিন্তু এবার তারা সেই অবস্থান থেকে বেরিয়েছেন৷ পল্লবীতে আওয়ামী লীগ নেতা ইলিয়াস আলী মোল্লার পক্ষে কাজ করছেন তারা৷ ৩,০০,৮৩৩ জন ভোটারের এই আসনে বিহারীরা যদি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেয় তাহলে চারদলীয় জোট প্রার্থী বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বড় ব্যবধানে পরাজিত হবেন৷ বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেছেন, বিহারীরা প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে কথা বললেও ভেতরে ভেতরে তারা ‘আওয়ামী লীগ বিরোধী'৷ তাই তাদের ভোট ধানের শীষেই যাবে এবং ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বড় ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হবেন৷

আদাবর মোহাম্মদপুর আসনটিতে নির্বাচন করছেন মহাজোটের জাহাঙ্গীর কবির নানক আর চারদলীয় জোটের মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল৷ ২,৮৩,১৪২ জন ভোটারের এই আসনে বিহারীদের ভোট ২০,০০০ এর মত৷ জেনেভা ক্যাম্পের সাত হাজার বিহারী ভোটার নির্বাচনে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখবে৷ এই এলাকার কাটাসুর ও রায়ের বাজারে প্রচুর হিন্দু ভোটারও রয়েছেন৷ হিন্দুদের ভোট নানক পেলে এগিয়ে থাকবেন তিনি৷ আর বিহারীদের ভোট আলাল পেলে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এখানে৷