ঢাকার আকাশে আজ দেখা যাবে আতশবাজির আলোকচ্ছটা
১০ নভেম্বর ২০১০আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা৷ এই আসরের ক্ষণগণনাকে স্মরণীয় করে রাখতে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আজ বুধবার রাতে আয়োজন করা হয়েছে এক জমকালো অনুষ্ঠানের৷ সেখান থেকেই রাতের ঢাকা দেখবে আতশবাজি৷ এই অনুষ্ঠান সকলের জন্য উন্মুক্ত বলেই খবর৷ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এই বিশ্বকাপ ক্ষণগণনা অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে৷
আগামী বছরে অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলঙ্কা৷ দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয়বারের মত অনুষ্ঠেয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এ আসরকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্যোগ যৌথ আয়োজক তিন দেশের৷
ইতিমধ্যে তিন দেশের প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ডের বেশ প্রশংসা করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)৷ আইসিসি প্রধান নির্বাহী হারুন লোর্গাট বার্তা সংস্থা এএফপি'কে বলেন, ‘‘টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি বেশ ভালভাবে এগিয়ে চলছে এবং আয়োজক দেশগুলোর মধ্যে বোঝাপড়াও বেশ চমৎকার৷''
৪৩ দিনব্যাপী এই আসরে হবে ৪৯টি ম্যাচ৷ টুর্নামেন্টের অধিকাংশ ২৯ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ভারতে৷ ক্যান্ডিতে নবনির্মিত ২৫ হাজার আসনবিশিষ্ট পাল্লেকেলে ও দক্ষিণাঞ্চলের হ্যাম্বান্ডোতা স্টেডিয়ামসহ শ্রীলঙ্কার তিন ভেন্যুতে মোট ১২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে৷ একটি কোয়ার্টার ফাইনাল ও একটি সেমিফাইনালসহ সপ্তম ম্যাচটির জন্য তৃতীয় ভেন্যু হতে পারে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম৷ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য ৮টি ম্যাচ হবে ঢাকার মিরপুরস্থ শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে৷
আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সকল স্টেডিয়ামের নির্মাণ ও সংস্কার কাজ শেষ হবে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল ভেন্যু ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে বলেই আশা আয়োজকদের৷
ভারত-পাকিস্তান যৌথভাবে ১৯৮৭ সালে উপমহাদেশে প্রথমবার এবং শ্রীলঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আয়োজন করেছিল এবার উপমহাদেশের তৃতীয় আসর, তিনটি দেশ আয়োজক৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন