1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডুবে যাওয়া নৌকায় বাংলাদেশি শরণার্থীও ছিলেন: জাতিসংঘ

১১ মে ২০১৯

ভূমধ্যসাগরের টিউনিসিয়া উপকূলে শরণার্থীবাহী একটি নৌকাডুবির ঘটনায় অনেক মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ সেই নৌকায় বাংলাদেশি শরণার্থীরাও ছিলেন বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর৷

https://p.dw.com/p/3IKv7
Symbolbild Flüchtlingskatastrophe Mittelmeer
ছবি: imago/Anan Sesa

শুক্রবার সকালে টিউনেসিয়া সমুদ্র উপকূল থেকে প্রায় ৪৫ নটিক্যাল মাইল দূরে ৬৫ জন শরণার্থীসহ নৌকাডুবির এ ঘটনা ঘটে৷ এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর৷

এদিকে টিউনেসিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণলয় জানিয়েছে, হতাহতদের উদ্ধারে অভিযান চলছে৷ এখন পর্যন্ত তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা৷

উদ্ধারকৃত এক শরনার্থীর উদ্ধৃতি দিয়ে ইউএনএইচসিআর জানায়, নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের লক্ষ্যে আফ্রিকার সমুদ্র উপকূলবর্তী দেশ লিবিয়ার যুয়ারা এলাকা থেকে প্রায় ৬৫ জনের একটি দল বৃহস্পতিবার সন্ধায় যাত্রা করে৷ শুক্রবার সকালে অভিবাসন প্রত্যাশীদের দলটি টিউনিসিয়া উপকূলের কাছাকাছি আসলে সমুদ্রের বড় ঢেউয়ের ধাক্কায় তাদেরকে বহনকারি নৌকাটি উল্টে যায়৷

এ সময় টিউনিসিয়া উপকূলে মাছ ধরার একটি নৌকার জেলেরা তাৎক্ষণিকভাবে ১৬ জনকে উদ্ধার করতে সমর্থ হন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি৷ নৌকায় করে এ শরণার্থীরা ইটালি যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে জানা গেছে৷

এদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নৌকাটিতে বাংলাদেশি ও মরুক্কোর নাগরিকসহ আরো কয়েকটি দেশের শরণার্থী ছিলেন৷ তবে নৌকাটিতে ঠিক কতজন বাংলাদেশি বা কোন দেশের কতজন নাগরিক ছিলেন সে বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি৷

ভূমধ্যসাগরের ভযংকর এ পথটিতে প্রায় সময়ই শরণার্থীসহ নৌকাডুবির খবর পাওয়া যায়৷ তবে গত জানুয়ারি মাসের পর এটিই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ নৌকাডুবির ঘটনা, জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর৷ জানুয়ারি মাসে এক নৌকাডুবির ঘটনায় ১১৭ জন নিঁখোজ হয়েছেনবলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷

আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে লিবিয়া থেকে শরণার্থীরা নৌকাযোগে ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করে থাকে৷  ইউএনএইচসিআর-এর হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত লিবিয়া থেকে ইউরোপের যাওয়ার পথে ভুমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ১৬৪ জন নিহত হয়েছেন৷

আরআর/জেডএ (এএফপি, এপি, ইউএনএইচসিআর)