1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুলছে স্মার্টফোন, টলাচ্ছে মন

৮ জানুয়ারি ২০১৩

অনেকে বলবেন, এখন ‘স্মার্ট ফোন’-এর যুগ, সময় ডিজিটাল হওয়ার৷ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে সে কথা এখনো খাটলেও, যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু অচিরেই স্মার্ট ফোনের এই যুগ পার করে আরো ‘স্মার্ট’ হওয়ার পথে!

https://p.dw.com/p/17FjF
Gossip girls looking at a cell phone and smiling. Fotolia #39035924 Copyright: Andres Rodriguez - Fotolia.com
ছবি: Andres Rodriguez - Fotolia.com

‘মোবাইল ফোন' – অদতে এ যন্ত্রটির প্রধান কাজ দুই ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন এবং ক্ষুদে বার্তা বা এসএমএস আদান-প্রদান করা৷ অর্থাৎ, মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের একটা মাধ্যম এটি৷

কি? সেল ফোনের এহেন ব্যাখা শুনতে একটু সেকেলে লাগছে, তাই না? কথাটা কিন্তু ঠিক৷ সেকেলে তো লাগতেই পারে৷ কারণ, নিত্যনতুন ‘স্মার্ট ফোন'-এর দৌলতে মোবাইল তো আর আজকাল শুধু কথোপকথন আর বার্তা বিনিময়ের মাধ্যম নয়!

অথচ এই তো, ক'দিন আগেও নিজস্ব একটা স্মার্ট ফোনের জন্য কেমন উতলা হয়ে ছিল বিশ্ববাসী৷ কেউ কেউ অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তিটির আনন্দ নিয়ে তৃপ্ত হওয়ার জন্য, কেউ আবার শুধুমাত্র পণ্যটি নিজ পকেটে রাখার জন্য৷

epa03057777 The Samsung display at the 2012 International Consumer Electronics Show in Las Vegas, Nevada, USA, 12 January 2012. This is the final day of the annual CES is a place where industry manufacturers, advertisers and tech-minded consumers converge to get a taste of new gadgets and innovations coming to the market each year. EPA/DAN GLUSKOTER EPA/DAN GLUSKOTER
যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস-এ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক কনসিউমার ইলেক্ট্রনিক শো'ছবি: picture-alliance/dpa

আর এখন? শিশু, বৃদ্ধ, বনিতা – যে কোনো বয়সি মানুষের হাতেই যে একটি করে সেট৷ তবে এক্কেবারে নতুন খবর হলো, ‘কোলোনিয়ালিজম'-এর পর যেমন ‘পোস্ট-কোলোনিয়ালিজম' এসেছিল, তেমনই এবার স্মার্ট ফোনের যুগ শেষ হয়ে নাকি ‘পোস্ট-স্মার্টফোন'-এর যুগ আসতে চলেছে৷ যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা কিন্তু তেমনটাই বলছে৷

যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস-এ মঙ্গলবার শুরু হওয়া ‘আন্তর্জাতিক কনসিউমার ইলেক্ট্রনিক শো'-তে মেলা কমিটির প্রধান শন দুব্রাভাচ জানান, ‘‘আসলে স্মার্ট ফোন এখন আর কথোপকথনের মাধ্যম নয়, এটা মানুষের ‘ডিজিটাল লাইফ' বা ডিজিটাল জীবনের অঙ্গাঙ্গি অংশ হয়ে উঠেছে৷ দেখা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন যাঁরা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন, তাঁদের অন্তত ৬৫ শতাংশ এটা ব্যবহার করেন বিনোদন অথবা অন্যান্য কাজের জন্য, যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে নয়৷''

বলা বাহুল্য, ইন্টারনেট ব্যবহারসহ নানা ধরনের বিনোদনের সুযোগ-সুবিধা থাকে স্মার্ট ফোনে৷ নানা রকমের ‘অ্যাপ্লিকেশন' বিনা পয়সায় ‘ডাউনলোড' করে কত কাজেই না আসে এই ফোনগুলো৷ পথ চিনতে, ভাষা শিখতে, খেলা করতে, খবর পড়তে, সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলি – যেমন ফেসবুক, টুইটার যখন-তখন ‘আপডেট' করতে, এমনকি রান্না করতে চাইলেও কোনো একটি অ্যাপ্লিকেশন টিপলেই হলো৷ সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত তথ্য হাজির৷ শন দুব্রাভাচের কথায়, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রে তো রক্তচাপ মাপার যন্ত্র হিসেবে, হোটেল বা বিমানের টিকিট ‘বুকিং' করতেও মানুষ ঐ স্মার্ট ফোনকেই বেছে নিচ্ছে৷''

এছাড়া, আর একটা মজার জিনিস হলো, আজকাল স্মার্ট ফোনগুলি তৈরিই হচ্ছে অত্যন্ত উন্নতমাত্রার ‘স্ক্রিন' সহ৷ যাতে করে ফোনের মাধ্যমেই ভিডিও, টেলিভিশন এমনকি সেনেমাও দেখা যায়৷ ঠিক ‘ট্যাবলেট' বা কম্পিউটারের মতো৷ এই যেমন হালের ‘স্যামসুং গ্যালাক্সি ৩ লাইট' বা ‘আইফোন ৫'-এও রয়েছে ‘রেটিনা ডিসপ্লে' বা ‘হাই ডেফিনেশন স্ক্রিন'৷

ডিজি/এআই (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য