1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টয়লেট পেপার মজুদ না করার অনুরোধ জার্মান মন্ত্রীর

১৯ অক্টোবর ২০২০

জার্মানদের মধ্যে এমনিতেই কেনাকাটা করে বাড়িতে মজুদ করে রাখার প্রবণতা রয়েছে৷ মার্চের লকডাউনে অতিরিক্ত পণ্য কিনে রাখা মারাত্মক আকার নিয়েছিলো৷ তা এড়াতে জার্মান কৃষি মন্ত্রী জনগণের প্রতি আগেভাগেই অনুরোধ জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/3k8bd
ছবি: picture-alliance/xim.gs

করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে, সেই সাথে বাড়ছে নানা বিষয়ে উদ্বেগের মাত্রা৷ লিডল, আলডি বা এডেকার মতো বড়বড় চেইন সুপার মার্কেটগুলো টয়লেট পেপারের মতো কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের অতিরিক্ত চাহিদার কথা জানিয়েছে, যা গত লকডাউনের সময় ঘটেছিলো৷

জার্মান কৃষি মন্ত্রী ইউলিয়া ক্ল্যোকনার রোববার ফ্রাংকফুর্টার আলগেমাইন পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘অতিরিক্ত পণ্য কিনে বাড়িতে মজুদ করে রাখা শুধু অযৌক্তিকই নয়, সহানুভূতির অভাব রয়েছে৷ কিনে রাখা অতিরিক্ত পণ্যের অনেকটাই হয়তো শেষ পর্যন্ত আবর্জনায় ফেলতে হয়৷'' তিনি এই গতবারের সে পরিস্থিতি এড়ানোর অনুরোধ করেছেন সকলকে৷

মার্চ এপ্রিল মাসে কত মানুষ যে সোশ্যাল মিডিয়ায় দোকানে টয়লেট পেপারের খালি তাকের ছবি পোস্ট করছেন! আসলে কোনো বিপদ আপদে আমাদের চিন্তা থাকে বাসায় যথেষ্ট খাবার- দাবার আছে কিনা সেদিকে? আর জার্মানদের আতঙ্ক ছিলো টয়লেট পেপার নিয়ে৷ টয়লেট পেপার নিয়ে অবশ্য সেসময় জার্মনরা নিজেরাও অনেক মজার মজার জোক করেছেন৷ তখন দোকান ছাড়াও আমার জার্মান প্রতিবেশিদের বিভিন্ন পণ্যের বাড়তি কেনাকাটা এবং গাড়ি থেকে বিশাল বড় বড় টয়লেট পেপারের রোলগুলো বের করতে দেখেছি৷ তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক মধুর থাকলেও কেন যেন তখন এ বিষয়ে তাদের কিছু বলতে পারিনি৷ শুধু মনে হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশসহ কত দেশের মানুষ না খেয়ে মারা যচ্ছে আর জার্মানদের চিন্তা টয়লেট পেপার নিয়ে৷ সত্যিই বলতে কি, টয়লেট পেপার নিয়ে মাতামাতি একটু বাড়াবাড়িই মনে হয়েছে তখন!

Nurunnahar Sattar, DW-Mitarbeiterin Bengali Programm
নুরুননাহার সাত্তার, ডয়চে ভেলেছবি: DW/A. Islam

যদিও শেষের দিকে এসব কারণে অনেক দোকানের বিভিন্ন পণ্যের তাকে এক প্যাকেটের বেশি কেনা যাবে না, তা লিখে রাখা হতো৷ সে পরিস্থিতি মনে হচ্ছে আবারও ফিরে এসেছে, এখন আবারও টয়লেট পেপার বা করোনা প্যানিক কেনাকাটা নিয়ে জোক শুরু হয়ে গেছে, ফেসবুক, টুইটার আর ইন্সটাগ্রামে৷

তবে একটা কথা ঠিক যে যারা শহরের একটু বাইরে থাকেন বা চাকরীজীবী, তাদের অনেকে দরকারি অদরকারি জিনিসপত্র কিনে বাড়ির সেলার বা স্টোররুমে রেখে দেয় ৷ জার্মানদের এই স্বভাবের কিছুটা প্রভাব আমরা যারা অনেকদিন ধরে এদেশে আছি তাদের মধ্যেও পড়েছে৷

মন্ত্রী ক্ল্যোকনার ঠিকই বলেছেন যে, কিনে রাখা অতিরিক্ত পণ্যের কিছুটা শেষ পর্যন্ত আবর্জনায় ফেলা হয়৷ আর তা আমি আমার জার্মান বন্ধুবান্ধব আর প্রতিবেশীদের মধ্যে কিছুটা হলেও দেখেছি৷ অতিরিক্ত কেনাকাটা মানেই বাড়তি অর্থের প্রয়োজন৷ করোনা সংকটে প্রতিটি মানুষের যে সে সামর্থ্য নেই তা প্রায় সকল সচেতন নাগরিকেরই জানা৷ শুধু এ বিষয়টা মাথায় রাখলে মার্চ মাসের মতো পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব!

আমার বিশ্বাস, মন্ত্রীর অনুরোধ মেনে করোনা সংকট পরিস্থিতিতে সকলে একে অপরের প্রতি সহানুভুতিশীল হবেন এবং অতিরিক্ত পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকবেন!