ট্রুডোর কড়া সমালোচনা, জয়শঙ্করের জবাব
২৩ অক্টোবর ২০২৩ভারতের দেয়া চরমসীমা মেনে নিয়ে দিল্লি থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে ক্যানাডা। এরপরই ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেছেন, দিল্লি যা করছে তাতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষের কষ্ট বাড়ছে। ভারত কূটনীতির মূল বিষয়গুলিই মানছে না বলে তর অভিযোগ।
ট্রুডো বলেছেন, ''ভারত যে ক্যানাডার কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলো, তার প্রভাব দুই দেশের বাণিজ্য, পর্যটন এবং ক্যানাডায় থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের উপর পড়বে।''
এরপরই মুখ খুলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, ''দুই দেশের কূটনীতিকদের সংখ্য়ার মধ্যে সমতা থাকা দরকার। তাই ভারত এই কাজ করেছে।'' তার দাবি, ''ভারত ভিয়েনা কনভেনশনের মধ্যে থেকেই এই কাজ করেছে।''
জয়শঙ্করের বক্তব্য, ''ভিয়েনা কনভেনশনে বলা হয়েছে, দুই দেশের কূটনীতিকদের মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে একটা সমতা থাকা দরকার। ভারত এই সমতা চেয়েছে, কারণ, আমরা দিল্লির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ক্যানাডার কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপ নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ছিলাম।'' ক্যানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা ভারতের এই অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছেন।
জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ক্যানাডার ভিসা আবার দেয়া শুরু হবে, যদি সেখানে ভারতীয় কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ট্রুডোর দেশ। ভারত ও ক্যানাডার সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেছেন, ক্যানাডার বেশ কিছু নীতি নিয়ে ভারতের অসুবিধা আছে।
ট্রুডোর সমালোচনায় বিরোধীা নেতা
ক্যানাডার প্রধান বিরোধী দলের নেতা পিয়ের পলিয়েভ জানিয়েছেন, ''ট্রুডো দেশে ক্যানাডিয়ানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন এবং আমাদের সঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রের সম্পর্ক নষ্ট করেছেন। ভারতে তাকে নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করছে।''
এই বিরোধী নেতা শুধু যে হাউস অফ কমন্সে সবচেয়ে বড় বিরোধী দলের নেতা তাই নন, ভোটের আগের সমীক্ষায় দেখা গেছে, তিনি প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর থেকে জনপ্রিয়তায় অনেক এগিয়ে আছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ক্ষমতায় এলে তিনি অবশ্যই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করবেন।
বিরোধী নেতার দাবি, ''ট্রুডো একটাই অকর্মন্য ও অপেশাদার যে, ভারত-সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সঙ্গে ক্যানাডার সম্পর্ক এখন খারাপ হয়ে গেছে।''
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)