টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রথম দিন অস্ট্রেলিয়ার
৮ জুন ২০২৩টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ভারত। রোহিত শর্মা ভেবেছিলেন, ভারতীয় পেসাররা উইকেটের সুবিধা নিয়ে ভারতকে ভালো জায়গায় নিয়ে যাবেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে টিমের বাইরে রেখে চার পেসার নিয়ে দল সাজিয়েছেন রোহিত। পরে তিনি বলেন, ''পিচ এবং আকাশের অবস্থা দেখে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। নাহলে অশ্বিনকে বাইরে রেখে খেলাটা কঠিন।''
রোহিতের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারেননি রিকি পন্টিং ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। পন্টিং বলেছেন, ''অস্ট্রেলিয়ার এতজন বাঁহাতি ব্যাটার। অশ্বিন তাদের সমস্যায় ফেলতে পারত। ''আর সৌরভ মনে করেন, ''অশ্বিনের মতো ক্রিকেটার সবসময়ই দলকে বাড়তি শক্তি জোগান।''
মহম্মদ সিরাজ, মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব, শার্দুল ঠাকুররা শুরুতে তিন উইকেট নিলেও পরে আর বিশেষ কিছু করতে পারেননি। কাজে দেয়নি জাদেজার স্পিনও। দিনের শেষে তিন উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া করেছে ৩২৭ রান। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ভারতীয় বোলাররা আঘাত হানতে না পারলে রানের পাহাড় গড়তে পারে অস্ট্রেলিয়া।
ট্রেভিস হেডের সেঞ্চুরি
দিনের শেষে ১৪৬ রান করে অপরাজিত হেড। ভারতীয় বোলারদের তিনি যথেচ্ছ পিটিয়েছেন। মাত্র ১০৬ বলে শতরান করেছেন। ২২টি চার ও একটা ছয় মারেন। হেডকে আটকাতে পারেননি কোনো ভারতীয় বোলারই।
স্টিভ স্মিথের সঙ্গে জুটি করে ২৫১ রান তুলেছেন হেড।
স্মিথের ইনিংস
স্টিভ স্মিথ ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেছেন। হেড যখন মারছেন, তখন তিনি অন্যদিক ধরে রেখেছেন। মারার বল মেরেছেন। অযথা ঝুঁকি নিয়ে আউট হননি। দিনের শেষে তিনি ৯৫ রান করে অপরাজিত।
প্রথম দিনে নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়ার প্রাধান্য থেকেছে। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে ভারতীয় বোলাররা ঘুরে না দাঁড়ালে রোহিতদের কাজ কঠিন হবে। কারণ, তাদের অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী পেস বোলিয়ের মোকাবিলা করতে হবে।
কালো ব্যান্ড
হাতে কালো ব্যান্ড পরে মাঠে নেমেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের স্মরণে।
জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, এএফপি)