টেলিকম কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
২ জুন ২০১১স্পেকট্রাম বণ্টনে আসামির কাঠগড়ায় এবার দাঁড়াতে চলেছেন কেন্দ্রীয় টেক্সটাইল মন্ত্রী দয়ানিধি মারান৷ এ.রাজা, কানিমোড়ির পর ইনি হলেন ডিএমকে পার্টির তৃতীয় ব্যক্তি যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে কেন্দ্রে টেলিকম মন্ত্রী থাকাকালীন তিনি মোবাইল পরিষেবা সংস্থা এয়ারসেল তথা তার প্রোমোটার সংস্থা ম্যাক্সিসকে স্পেকট্রাম বণ্টনে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন৷ তাতে ৬০০ কোটি টাকার দুর্নীতি জড়িত ছিল৷ সুবিধা পাবার পর মারান পরিবারের মালিকানাধীন সান টিভিতে ম্যাক্সিস সংস্থা বড় রকম বিনিয়োগ করে৷ বলা বাহুল্য, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মারান৷
স্বাভাবিকভাবে এই অভিযোগ বিরোধীদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিল মনমোহন সিং সরকারকে পর্যুদস্ত করতে৷ দয়ানিধি মারানের কাছে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে বিজেপি৷ যেমন, ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল অবধি মারান টেলিকম মন্ত্রী থাকার সময়েই কি তাঁদের পরিবার নিয়ন্ত্রিত সান টিভিতে বিনিয়োগ করেছে মালয়েশিয়ার কোম্পানি ম্যাক্সিস ? দুই, ম্যাক্সিস কি তার অনুসারী গোষ্ঠীর মাধ্যমে এয়ারসেল মোবাইল পরিষেবা সংস্থায় বিনিয়োগ করেছে, ইত্যাদি ?
বিজেপি, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার এআইএডিএমকে এবং সিপিআই-এম অবিলম্বে দয়ানিধি মারানের ইস্তফা দাবি করেছে৷ বিজেপি নেতা প্রতাপ রুডি বলেন, মারানের ইস্তফা দেয়া উচিত৷ মারান বিতর্কে কংগ্রেস এই মুহূর্তে পা দিতে চাইছেনা৷ কংগ্রেসের বক্তব্য, গত ১০ বছরে স্পেকট্রাম বণ্টনের যাবতীয় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখছে যৌথ সংসদীয় কমিটি৷ কমিটির তদন্তের ওপর আস্থা রাখা উচিত বিরোধীদের৷
কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই এই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে৷ আইনি তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের পর স্থির হবে, মারানকে গ্রেপ্তার করা হবে কিনা – জানিয়েছে সিবিআই৷ তার আগে সিবিআই তদন্তে দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিশিষ্ট আইনজীবী এবং দুর্নীতিরোধে লোকপাল বিলের খসড়া কমিটির সদস্য শান্তিভূষণ৷ মারান এই বিষয়ে দু'দফায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজের বক্তব্য পেশ করেন৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন