টেক্সাস গির্জা হামলায় নিহত ২৬
৬ নভেম্বর ২০১৭প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার গির্জায় প্রার্থনা চলাকালীন সময়ে ওই বন্দুকধারী সেখানে প্রবেশ করে এলোপাথারি গুলি শুরু করে৷ সেসময় সেখানে অন্তত ৫০ জন প্রার্থনা করছিলেন৷ পুলিশ জানায়, হামলাকারীর নাম ডেভিন প্যাট্রিক ক্যালি৷ ২৬ বছর বয়সি এই শ্বেতাঙ্গের গুলিতে নিহত হয় অন্তত ২৬ জন, যার মধ্যে রয়েছে গির্জার যাজকের পাঁচ বছর বয়সি মেয়েও৷
আহত আরো অন্তত ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ হামলাকারী নিজেও পালিয়ে যাওয়ার সময় মারা যায়৷ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে অবশ্য নিশ্চিত করা হয়েছে যে, পুলিশের গুলিতে মারা যায়নি ক্যালি৷ গুলি শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ধাওয়া করে স্থানীয় এক অধিবাসী৷ পুলিশও হামলাকারীর পিছু ধাওয়া করে৷ কিছুক্ষণ পর গুয়াদেলুপে কাউন্টিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ক্যালিকে৷ ২৬ জন নিহতের ঘটনা নিশ্চিত করে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, টেক্সাসের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা এটি৷
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১২ দিনের এশিয়া সফরে রয়েছেন৷ জাপান থেকে এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, পবিত্র স্থানে এমন হামলা শয়তানের কাজ৷
লাস ভেগাসে একটি গানের অনুষ্ঠানে বন্দুকধারীর হামলায় ৫৮ জন নিহত হওয়ার এক মাসের মাথায় এ হামলার ঘটনা ঘটল৷ গির্জায় এ হামলার পরপরই আবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নতুন করে উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে বিতর্ক৷ সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অনেক রাজনীতিবিদও যোগ দেন এ বিতর্কে৷ ম্যাসাচুসেটস-এর সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন লেখেন, ‘‘চার্চ বা কনসার্ট বা স্কুলে আর কত মৃত্যু হলে আমরা এনআরএ-কে এ দেশের অস্ত্রের উপর নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দেয়া বন্ধ করবো?'' তবে এ ঘটনা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয় দাবি করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এধরনের ঘটনা মানসিক সমস্যা থেকে ঘটেছে৷
আরএন/ডিজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ)