টু-জি কাণ্ডে প্রাক্তন মন্ত্রী দয়ানিধির ফাঁস আরো শক্ত হলো
১০ অক্টোবর ২০১১টু-জি স্পেকট্রাম বন্টনের আওতায় বিতর্কিত এয়ারসেল-ম্যাক্সিস চুক্তির জেরে প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী দয়ানিধি মারান, তাঁর ভাই সান টিভির প্রধান কলানিধি মারান এবং ম্যাক্সিসের মালিক মালেশিয়ার ব্যবসায়ী আনন্দ কৃষ্ণানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার পর কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই আজ তাঁদের বাসভবনে তল্লাসি চালায়৷ সিবিআই সুপ্রীম কোর্টকে এর আগে জানিয়েছিল, মারানের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ তাদের হাতে আছে৷
এই কঠিন সময়ে ডিএমকে প্রধান করুণানিধি বা তাঁর দলের কেউ মারানের পাশে নেই৷ যদিও মারান ভাইরা করুণানিধি পরিবারের সদস্য৷ উল্লেখ্য, মারান ভাইরা সম্পর্কে করুণানিধির ভাইপো৷ করুণানিধির বড় ছেলে প্রকাশ্যে মারানের বিরোধীতা করেন৷ এই তল্লাসি অভিযান সম্পর্কে করুণানিধি কোনো মন্তব্য করেননি৷ শুধু বলেছেন, পরিস্থিতির মোকাবিলা করার শক্তি মারানের আছে৷ কিন্তু কেন করুণানিধি বা তাঁর দল মারানের পাশে দাঁড়ালেন না ? শোনা যাচ্ছে, ডিএমকে মনে করে যে, করুণানিধির মেয়ে কানিমোড়ি ও সাবেক ডিএমকে টেলিকম মন্ত্রী এ. রাজার বিরুদ্ধে সিবিআই-এর কাছে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন দয়ানিধি৷
মারান ভাইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দয়ানিধি মারান টেলিকম মন্ত্রী থাকাকালীন এয়ারসেলের লাইসেন্স মঞ্জুর করতে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরী করেন যাতে এয়ারসেলের মালিক শিবশঙ্করন ম্যাক্সিস কোম্পানির কাছে এয়ারসেল বিক্রি করতে বাধ্য হয়৷ যে মুহূর্তে তা বিক্রি করা হয়, সেই মুহূর্তে এয়ারসেলের লাইসেন্স মঞ্জুর হয়৷
ম্যাক্সিসকে বিশেষ সুবিধা দেবার বদলে ম্যাক্সিস অ্যাস্ট্রোনেটের মাধ্যমে সান টিভিতে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করে৷ অ্যাস্ট্রোনেট সান টিভির সহযোগী সংস্থা যার মালিক দয়ানিধির ভাই কলানিধি মারান৷ এই কাজের জন্য ম্যাক্সিস গ্রুপের কাছ থেকে দয়ানিধি ও কলানিধি ঘুষ নেন প্রায় ৬০০ কোটি টাকা এমনটাই অভিযোগ৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ