1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টু-জি কাণ্ডের জেরে মন্ত্রিত্ব হারালেন দয়ানিধি মারান

৭ জুলাই ২০১১

টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির জেরে মনমোহন সিং মন্ত্রিসভা থেকে আজ ইস্তফা দিতে হলো বস্ত্রমন্ত্রী দয়ানিধি মারানকে৷ সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর রিপোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/11qti
Supreme Court of India Quelle: Wikipedia/LegalEagle - licensed under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 License
ভারতের সুপ্রিম কোর্টছবি: Wikipedia/LegalEagle

টু-জি স্পেকট্রাম কাণ্ডের ভূত মনমোহন সিং সরকারের পিছু ছাড়ছেনা৷ এরই জেরে আজ বস্ত্রমন্ত্রী দয়ানিধি মারানকে ইস্তফা দিতে হয়৷ কয়েকদিন ধরে মারানের ইস্তফা নিয়ে চলছিল জোর জল্পনা, সরকার ও দলের শীর্ষস্তরে বসে ঘন ঘন বৈঠক৷ মারানের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর রিপোর্টের অপেক্ষায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ গতকাল সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা সিবিআই-এর প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়, প্রথম ইউপিএ সরকারের আমলে ২০০৪ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত টেলিকম মন্ত্রী থাকাকালীন দয়ানিধি মারান তাঁর ঘনিষ্ঠ এক বিদেশি কোম্পানিকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন৷

কী এই সুবিধা? টেলিকম সংস্থা এয়ারসেলের কর্তাব্যক্তি শিবশঙ্করনকে চাপ দিয়ে ভয় দেখিয়ে এয়ারসেলে তাঁর ৭৪% শেয়ার ম্যাক্সিম নামে এক মালয়েশিয়ান কোম্পানিকে বেচতে বাধ্য করেছিলেন মারান৷ গোড়ায় শিবশঙ্করন শেয়ার বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় এয়ারসেলের ব্যবসা বাড়ানোর লাইসেন্স আটকে দেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু বিক্রি করার পরই তিনি লাইসেন্স পেয়ে যান৷ আর তারপরই ম্যাক্সিম মারানের পারিবারিক সংস্থা সান টিভিতে লগ্নি করে ৬০০ কোটি টাকা৷ এই মর্মে শিবশঙ্করন নিজেই অভিযোগ করেছিলেন৷ কার্যত তা সমর্থন করা হয় সিবিআই-এর রিপোর্টে৷

epa02730430 All India Anna Dravida Munnetra Kazhagam (AIADMK) party general secretary J. Jayalalitha waves to supporters from the balcony of her residence after the party won the Tamil Nadu state election, Chennai, India on 13 May 2011. AIADMK won the state elections and Jayalalitha will be the next chief minister of the southern Indian state of Tamil Nadu, news reports said. EPA/NATHAN G. +++(c) dpa - Bildfunk+++
জয়ললিতার: মারানের আগেই ইস্তফা দেয়া উচিত ছিলছবি: picture alliance/dpa

দয়ানিধি মারানের ইস্তাফার দাবি জানিয়ে আসছিল জয়ললিতার এআইএডিএমকে, বিজেপি ও বামদলগুলি৷ তাদের মন্তব্য, অনেক আগেই মারানকে সরানো উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীর৷ জয়ললিতার মন্তব্য, মারানের আগেই ইস্তফা দেয়া উচিত ছিল৷ নাহলে প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল তাকে বরখাস্ত করা৷ বিজেপির প্রতিক্রিয়া, পুরো দুর্নীতির চেহারাটা যখন স্পষ্ট, তখন প্রধানমন্ত্রী এতো দেরি করলেন কেন? বিশ্লেষকদের মতে, মারান সরকারের বড় শরিক ডিএমকে দলের বলে করুণানিধির সঙ্গে আলোচনা করতে হয়৷ এর প্রেক্ষিতে সিপিএমের বৃন্দা কারাত বলেন, জোটধর্মের দোহাই দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এত বড় দুর্নীতির সঙ্গে কীভাবে আপোশ করতে পারেন? উপায়ান্তর না দেখে করুণানিধি মারানের ইস্তফায় রাজি হন৷ মারান হলেন ডিএমকে দলের দ্বিতীয় মন্ত্রী, যাকে পদত্যাগ করতে হলো৷ প্রথম জন জেলবন্দি এ রাজা৷ এবার রাজার মত একইভাবে জেরা করতে পারে সিবিআই৷ প্রমাণসাপেক্ষে প্রয়োজন হলে গ্রেপ্তারও করতে পারে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান