টিপাই মুখ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু
২২ আগস্ট ২০০৯বিভিন্ন মহলের ওজর আপত্তির মধ্যেই মনিপুর, মিজোরাম ও আসাম সীমান্ত সংলগ্ন তুইভাও-বরাক নদীর সঙ্গমস্থলে টিপাইমুখ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে উত্তর-পূর্বাঞ্চল ইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন সংক্ষেপে নীপকো৷ একমাত্র পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া বাকি সব বিধিবদ্ধ অনুমোদন এসে গেছে৷ আর্থিক অনুমোদনও পাওয়া গেছে অর্থনৈতিক বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির৷ সই হয়েছে মনিপুর সরকারের সঙ্গে সমঝোতাপত্র৷ আসাম ও মিজোরাম সরকার দিয়েছে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট৷ নীপকো প্রথমে নির্মাণ করবে দুটি ইউনিট৷ সেজন্য ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল সাজসরঞ্জাম সরবরাহের আন্তর্জাতিক দরপত্র খোলা হয়েছে৷ পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হতে সময় লাগবে বছর সাতেক৷ মোট ৬টি ইউনিটে উত্পন্ন হবে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ৷
বাংলাদেশের আপত্তির কথা মাথায় রেখে ভারতের কেন্দ্রীয় জল সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে৷ টিপাইমুখে কোন সেচ বাঁধ নির্মিত হবেনা৷ জলাধারের জল অন্যদিকে প্রবাহিত করা হবেনা৷ বরাক নদীর ভাটির দিকে জল প্রবাহ অব্যাহত থাকবে৷ বাংলাদেশের কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর জলস্তরে তারতম্য হবেনা৷ শুধু তাই নয়, টিপাইমুখ জলাধার বন্যা নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে৷ বাংলাদেশের তরফে নির্মাণস্থলের যৌথ পরিদর্শনের প্রস্তাব দেওয়া হয়, কিন্তু ভারতীয় আধিকারিকদের বক্তব্য, এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ৷ প্রকল্পের ডিজাইন ও অন্যান্য নথিপত্র পেতে হলেও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আসতে হবে৷
আপত্তি শুধু বাংলাদেশেরই নয়৷ আপত্তি উঠেছে বরাক নদীর উজান ও ভাটি এলাকা থেকেও৷ মনিপুর, মিজোরাম ও আসামের সুশীল সমাজ মনে করেন, বরাক নদীর তীরে যারা বসবাস করছেন তাদের জীবনে নেমে আসবে পরিবেশ, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অন্ধকার৷ কোনভাবেই তার ক্ষতিপূরণ হতে পারেনা৷ যদিও সরকার মনে করেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে টিপাইমুখ প্রকল্প জরুরি৷
প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম