1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিগ্রের রাজধানী দখল সেনার, লড়াই চলছে

৩০ নভেম্বর ২০২০

শনিবার ইথিওপিয়ায় টিগ্রের রাজধানী দখল করেছে সেনা। তারপর প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। তবে লড়াই এখনো থামেনি।

https://p.dw.com/p/3lzes
ছবি: Ashraf Shazly/AFP/Getty Images

টিগ্রে লিবারেশন পিপলস ফ্রন্টের হাত থেকে টিগ্রের রাজধানী দখল করেছে ইথিওপিয়ার সেনা, দাবি দেশের সরকারের। তবে টিপিএলএফ হার মানতে রাজি নয়। তারা জানিয়ে দিয়েছে, লড়াই চলবে। এমনকী তারা দাবি করেছে, বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান তারা ধ্বংস করেছে। সেনার হাত থেকে অন্য একটি শহর দখল করে নিয়েছে। অবশ্য টিগ্রের রাজধানী দখল করার পরেই প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধবিরতির কথা জানিয়ে দিয়েছেন। দুই পক্ষের এই দাবি যাচাই করার কোনো উপায় নেই। ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। টিগ্রেতে কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে সেখানকার পরিস্থিতি ঠিক কী, তা জানার উপায় নেই।

জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচআরসি সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, তাদের যেন অবিলম্বে টিগ্রের রাজধানীতে ঢুকতে দেয়া হয়। তারা সেখানে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে চায়। ইতিমধ্যেই টিগ্রে ছেড়ে হাজার হাজার মানুষ সুদানে আশ্রয় নিয়েছেন। সুদানের রাজধানী খার্তুমে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেছেন, ''আমরা এখনো যেতে পারছি না। আশা করছি, দিন কয়েকের মধ্যে আমরা ঢুকতে পারব। ইথিওপিয়ার সরকার যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করেছেন। তার মানে এই নয় যে, সংঘর্ষ থেমে যাবে।''

টিপিএলএফও একই দাবি করেছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, লড়াই চলছে। অন্য একটি শহর তরা দখলও করে নিয়েছে। এই সংঘাত চলবে বলেও তারা জানিয়েছে।

গত ৪ নভেম্বর থেকে সেনার সঙ্গে টিপিএলএফের লড়াই চলছে। এই লড়াইয়ের ফলে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রেড ক্রস জানিয়েছে, টিগ্রের হাসপাতালগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে প্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান নেই। গ্লাভস পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালে যা ছিল, তা দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।  তার উপর হাসপাতালে স্রোতের মতো আহতরা আসছেন। ফলে বাকি পরিষেবা বাতিল করতে হয়েছে। শুধু গুরুতর আহতদের চিকিৎসা চলছে।

অন্তত ৪৪ হাজার মানুষ টিগ্রে ছেড়়ে সুদানে গেছেন। ইউএনএইচআরসি জানিয়েছে, তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়াও বড় চ্যালেঞ্জ।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)