টিগ্রেতে জাতিসংঘের দলে সেনার গুলি
৯ ডিসেম্বর ২০২০ত্রাণ পৌঁছতে গিয়ে ইথিওপিয়া সরকারের সেনার হাতে আক্রান্ত জাতিসংঘের দল। একটি চেক পোস্ট পেরোতে গিয়ে বিপত্তি। সেনার দাবি, তাঁরা জাতিসংঘের দলটিকে থামাতে গুলি চালায়। তাঁদের সামান্য সময় আটক করে রাখা হয়েছিল।
জাতিসংঘের দলটি টিগ্রেতে একটি উদ্বাস্তু শিবিরে ত্রাণ পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল। তখনই এই ঘটনা ঘটে। জাতিসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, তারা ইথিওপিয়ার সর্বোচ্চ স্তরে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন এবং এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছেন।
টিগ্রেতে ইথিওপিয়ার টাস্ক ফোর্সের প্রধান রেডওয়ান হুসেইন সাংবাদিকদের বলেছেন, জাতিসংঘের দলটি দুইটি চেকপোস্টে বলা সত্ত্বেও দাঁড়ায়নি। তৃতীয় চেকপোস্টও তারা একইভাবে পেরোতে যায়। তখন সেনা গুলি চালায়। গুলিতে কেউ আহত হননি। অল্প সময়ের জন্য জাতিসংঘের দলের সদস্যদের আটকও করা হয়েছিল। তারপর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে ইথিওপিয়ার সরকার ও জাতিসংঘের মধ্যে টিগ্রেতে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেয়া নিয়ে চুক্তি হয়েছে। নভেম্বর থেকে সরকারি বাহিনী ও টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফোর্স(টিপিএলএফ)-এর মধ্যে লড়াই চলছে। তাতে হাজার কয়েক মানুষ মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাব, অন্ততপক্ষে সাড়ে নয় লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছেন।
জাতিসংঘের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁদের দলে চার জন ছিলেন। তাঁরা রাস্তাঘাটের অবস্থা দেখছিলেন এবং ইরিত্রিয়ার উদ্বাস্তু শিবিরে যাচ্ছিলেন। সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জাতিসংঘের দলকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, তাঁরা যেন এইভাবে অ্যাডভেঞ্চার না করেন এবং এদিক ওদিক না যান। তাঁর দাবি, ইথিওপিয়ার সরকারই টিগ্রেতে ত্রাণসাহায্য পৌঁছে দেবে। জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তির অর্থ, তারা এই কাজে সরকারকে সাহায্য করবে। কিন্তু জাতিসংঘ নিজে থেকেই ত্রাণ শুরু করে দিয়েছে। মুখপাত্র বলেছেন, ইথিওপিয়ায় সরকার আছে, তাই তাঁদের বেবিসিটারের দরকার নেই।
কিন্তু জাতিসংঘ দুর্গত এলাকায় যেতে চায়। তারা স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করতে চায় এবং ত্রাণ পৌঁছে দিতে চায়। জাতিসংঘের মুখপাত্র বলেছেন, টিগ্রের পরিস্থতি বেশ জটিল। সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। জাতিসংঘ দুর্গত এলাকায় নিজেই যেতে চায়।
জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স, এপি)