টিকা নেননি, অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে পারলেন না জোকোভিচ
৬ জানুয়ারি ২০২২অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে মেলবোর্ন বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলেন জোকোভিচ। কিন্তু তিনি একটিও টিকা নেননি। জোকোভিচের অনুরোধ ছিল, তাকে কিছুটা ছাড় দেয়া হোক। নয় ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করার পর জোকোভিচ জানতে পারেন, তাকে অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে দেয়া হবে না।
অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেছেন, কঠোর সিদ্ধান্ত, কিন্তু ঠিক সিদ্ধান্ত।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, জোকোভিচ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে পারেন। জোকোভিচের বাবা এর আগে জানিয়েছিলেন, টেনিস প্লেয়ারকে একটা ঘরে রাখা হয়েছে। বাইরে দুই জন পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। সেই ঘরে কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, জোকোভিচ বিমানবন্দরে এমন কোনো নথি দেখাতে পারেননি, যার ফলে তাকে এই ছাড় দেয়া যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ''এইটুকুই বলতে পারি, তিনি যে নথিপত্র দিয়েছিলেন, তা যথেষ্ট নয়। আর জোকোভিচের জন্য শুধু এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এটা সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।''
আগামী ১৭ জানুয়রি থেকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরু হচ্ছে। চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই প্রতিযোগিতার কর্মকর্তারা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, যারা টিকার পুরো ডোজ নিয়েছেন অথবা যারা চিকিৎসাগত কারণে ছাড় পেয়েছেন, তারাই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন।
টেনিস অস্ট্রেলিয়ার কর্তা ক্রেগ টিলে জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার ঢোকার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আছে। হয় পুরো ভ্যাকসিন নিতে হবে, অথবা ছয় মাসের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সেরে গেছেন এমন প্রমাণ দিতে হবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণও দেখানো যেতে পারে। এর বাইরে কোনো ছাড় দেয়া হয় না।
মরিসন বুধবারই জানিয়েছিলেন, জোকোভিচকে প্রমাণ দিতে হবে যে, তিনি চিকিৎসাগত কারণে টিকা নেননি। তারকা টেনিস প্লেয়ার বলে তিনি কোনো ছাড় পাবেন না। তাকে সাধারণ মানুষের মতোই দেখা হবে এবং নিয়ম মানতে হবে।
নিয়ম মানতেই হবে
জোকোভিচের ভিসা বাতিল করার পর মরিসন বলেছেন, নিয়ম নিয়মই, সকলকে সেটা মানতে হবে। বিশেষ করে যদি সেটা দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে হয়।
মরিসনের স্পষ্ট কথা, জোকোভিচ হোন বা অন্য কেউ, তাদের জন্য কোনো বিশেষ নিয়ম থাকবে না।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)