1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিএনএজদের নিয়োগ দেয়া নিয়ে বিপাকে জার্মান সেনাবাহিনী

২৬ নভেম্বর ২০১৬

জার্মানির সামরিক বাহিনী বুন্ডেসভের চলতি বছর আঠারো বছরের কম বয়সিদের কাছে দশ লাখের বেশি নিয়োগ প্রচারপত্র পাঠিয়েছে৷ অধিকার বিষয়ক সংগঠন এবং বিরোধী দলের এমপিরা এই ঘটনায় বেশ চটেছেন৷

https://p.dw.com/p/2TG3M
জার্মান সেনাবাহিনীর নিয়োগপ্রাপ্তরা
ছবি: Getty Images/M.Villagran

নিজের ১৬ বছর বয়সি মেয়ে জার্মান সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে ডাকে নিয়োগপত্র পাওয়ার পর বেজায় চটেছেন একজন জার্মান এমপি৷ এর আগে জাতিসংঘ অল্পবয়সিদের কাছে বুন্ডেসভেরের বিজ্ঞাপন প্রচারের নীতির সমালোচনা করেছিল৷ গ্রিন পার্টির নেতা ও্যজকান মুতলু ‘টাৎস' পত্রিকাকে এই বিষয়ে বলেন, ‘‘এটা কলঙ্কজনক যে অপ্রাপ্তবয়স্কদের টার্গেট করা হচ্ছে৷ আমার মতে, এটা প্রভাব তৈরির এক অগ্রহণযোগ্য উপায়৷''       

পত্রিকাটিতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী প্রচারপত্রে লেখা হয়েছিল, ‘‘আপনি ইতোমধ্যে জানেন আপনি কোথায় পৌঁছাতে চান? তাহলে নির্দিষ্ট মেয়াদের সৈনিক হিসেবে যোগ দিন! আমাদের সমাজে এবং আমাদের নিরাপত্তায় নিজেকে সম্পৃক্ত করার যোগ্যতা অর্জনে এটাই হচ্ছে সম্ভাব্য সর্বোত্তম উপায়৷''

প্রচারপত্রে সঙ্গে বেশ কিছু ছবিও যোগ করা হয়েছে যেখানে জার্মানির সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়েছে৷ পাশাপাশি প্রাথমিক ট্রেনিং শুরুর সময় মাসিক বেতন ৮৩৭,৩০ ইউরো বলেও উল্লেখ করা হয়েছে৷ এই বিষয়ে মুতলু বলেন, ‘‘চিঠিটিতে পরিষ্কারভাবে বুন্ডেসভেরের বিজ্ঞাপন করা হয়েছে৷ কিন্তু অপ্রাপ্তবয়স্ক অল্পবয়সিদের নিরাপত্তা প্রয়োজন৷''

জার্মান সরকারের কাছ থেকে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক এক প্রশ্নের জবাবে গ্রিন পার্টির এমপি জানতে পারেন, তাঁর মেয়েকে যে প্রচারপত্রটি পাঠানো হয়েছে সেটি চলতি বছর পাঠানো ১,০৩৩,০৪৩টি প্রচারপত্রের একটি৷

জার্মান সেনবাহিনীর টিনএজদের প্রতি এই আগ্রহ অনেকের চোখে পড়েছে৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সামরিক বাহিনী নিয়োগ দেয়ার জন্য উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়ার ব্যাপারটি ক্রমশ দুরুহ হয়ে উঠছে৷ ১৮ বছর বয়সি নিয়োগ উপযোগীদের সংখ্যাও আগামী বছরগুলোতে কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে৷ জাতিসংঘ বিষয়টির সমালোচনা করে বলেছে, সেনাবিহিনী কিছুক্ষেত্রে শিশুদের লক্ষ্য করে প্রচারণা চালাচ্ছে, এমনকি তাদের প্রতিনিধিরা স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছে এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে৷

জাতিসংঘ এ ধরনের উদ্যোগ আইন করে বন্ধ করতে জার্মান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যদিও তাতে এখনো কোনো সাড়া মেলেনি৷ তবে জার্মানির বিভিন্ন স্কুলে ‘লেকচার' দেয়া এক সেনাসদস্য দাবি করেছেন, তাদের কাজের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘স্কুলের শিক্ষার্থীদের বুন্ডেসভেরে যোগ দেয়া বা জার্মান সরকারের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে আমরা কোনো কথা বলি না৷''

বেন নাইট/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য