1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্লগিং, আবারো!

২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২

কারাগার থেকে বের হওয়ার পর স্বজনদের সঙ্গে আবেগময় পুর্নমিলন, খুব স্বাভাবিক৷ সেটি হয়েছেও৷ কিন্তু তারপরই সদ্য কারামুক্ত ব্যক্তিটি চলে গেলেন ইন্টারনেটে৷ ঝটপট লিখে ফেললেন একটি নিবন্ধ৷ অথচ এই ব্লগিংই কিন্তু তাঁকে জেলে পুরেছিল!

https://p.dw.com/p/14Bu0
ছবি: Fotolia/Claudia Paulussen

মিয়ানমারের ব্লগার নে ফোন লাট৷ ২০০৭ সালে মিয়ানমারে ‘জাফরান বিপ্লব'-এর সময় অন্য বিপ্লবীদের সঙ্গে তাঁকে জেলে পুরেছিল সামরিক জান্তা সরকার৷ ধারণা করা হয়, ইন্টারনেট ব্লগিং এবং একইসঙ্গে সামরিক জান্তা সরকারের বিরোধীদের সহায়তার অভিযোগে তাঁকে বন্দি করা হয়৷

নে ফোন লাট'কে দুই দশক জেলে পুরে রাখার পাকা বন্দোবোস্ত হয়ে গিয়েছিল ২০০৮ সালে৷ সাজাও শুরু হয় তাঁর৷ কিন্তু মিয়ানমারের রাজনীতিতে সম্প্রতি যে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে, সেই হাওয়ায় জেল থেকে ছাড়া পেলেন এই ব্লগার৷ প্রথমে তাঁর সাজার মেয়াদ কমিয়ে ১২ বছর করা হয়, তারপর গত জানুয়ারিতে সেটি আরো কমানো হয়৷

ফোন লাট এই সাজা সম্পর্কে বলেন, ‘‘আসলে অন্য সকল ব্লগার এবং প্রযুক্তি বিশ্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত তরুণদের ভয় দেখাতেই আমাকে দীর্ঘ সময় কারাভোগের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল৷''

বলাবাহুল্য, কয়েকবছর কারাবন্দি থাকার পরও নিজেকে কিন্তু মোটেই বদলে ফেলেননি ফোন লাট৷ বরং জেল থেকে মুক্তি পেয়েই তিনি ফিরে যান ইন্টারনেট জগতে৷ লিখতে শুরু করেন আবারো৷ এই বিষয়ে তাঁর ব্যাখা হচ্ছে, ‘‘ইন্টারনেটে আমার অনেক বন্ধু আছে৷ তারা আমাকে আমার ব্লগের মাধ্যমে সহায়তা করেছে৷ তাই, জেল থেকে বেরিয়েই আমি ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে চেয়েছি এবং একটি নতুন নিবন্ধ লিখতে চেয়েছি৷''

ফোন লাট'এর ব্লগ একসময় হয়ে উঠেছিল মিয়ানমারের সাধারণ জনগণের মুখপত্র৷ বিশেষ করে জান্তা সরকারের কঠোর নজরদারির কারণে সেদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা তেমন একটি ছিল না বললেই চলে৷ ফোন লাট তাই ব্লগকে বেছে নেন মুক্ত মত প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে৷ ব্লগে বিভিন্ন রাজনৈতিক ভাষ্য প্রচার করেন তিনি৷ লিখেছেন কবিতা৷ জান্তা সরকারের প্রধানের ব্যঙ্গচিত্রও ইন্টারনেটে প্রকাশের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে৷ কারাবন্দি থাকাকালে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছেন ফোন লাট৷

কারামুক্ত নে ফোন লাট চাইছেন, মিয়ানমারে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক৷ যাতে করে, কোন রকমের ভয়ভীতি ছাড়াই সেদেশের মানুষ নিজেদের মতামত জানাতে পারে৷ এবং সেটা যত জোরালো, মুক্ত এবং স্বাধীনভাবে প্রকাশ সুযোগ থাকবে, ততই ভালো৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য