1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জেরুসালেমে বিক্ষোভ, ফিলিস্তিনি নিহত

২১ জুলাই ২০১৭

জেরুসালেমের পুরনো শহরে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷ শুক্রবার হারাম-আল-শরিফে প্রবেশে কড়াকড়ি নিয়ে ইসরায়েলি পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় ফিলিস্তিনিরা৷

https://p.dw.com/p/2gyKV
ছবি: Getty Images/AFP/A. Gharabli

কার গুলিতে ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো কিছু জানায়নি মন্ত্রণালয়৷ তবে অভিযোগের তীর উঠেছে ইসরায়েলি পুলিশের বিরুদ্ধেই৷ তবে আপাতত এ বিষয়ে নিরব থাকার অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েল সরকার৷

জেরুসালেম ইহুদি এবং মুসলিম, উভয় ধর্মের মানুষের কাছেই একটি পবিত্র স্থান৷ কিন্তু হঠাৎ করেই জেরুসালেমের হারাম-আল-শরিফ মসজিদে প্রবেশমুখে মেটাল ডিটেক্টর স্থাপন করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ফিলিস্তিনিরা৷

ইসরায়েলি পুলিশ ঘোষণা দেয়, জেরুসালেমের পুরনো শহরে শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করার জন্য ৫০ বছরের কম বয়সিদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে না৷ তবে যে কোনো বয়সের নারীদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে বলেও জানায় ইসরায়েল৷

সাধারণত শুক্রবারের প্রার্থনায় হারাম শরিফে হাজার হাজার মুসলিম নামাজের জন্য জড়ো হন৷ ইহুদিদের কাছে এই মসজিদ এলাকা মাউন্ট টেম্পল নামে পরিচিত৷

ইসরায়েলি পুলিশের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে মুসলিম নেতারা জুম্মার নামাজের জন্য নিজ নিজ এলাকার মসজিদের বদলে এই মসজিদে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান৷ আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিপুল পরিমাণ ফিলিস্তিনি জড়ো হন মসজিদ এলাকায়৷

অধিকৃত পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি সেনাদের চেকপয়েন্টে জড়ো হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয় ফিলিস্তিনিদের৷

ডয়চে ভেলের প্রতিনিধি তানিয়া ক্রেমার জেরুসালেম থেকে জানিয়েছেন, দুপুরের আগে থেকেই শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সংঘর্ষ ও সহিংসতা শুরু হয়৷ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চেকপয়েন্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ, ফিরিয়ে দেয় জেরুসালেমমুখী ফিলিস্তিনিদের৷

কড়াকড়ির ফলে এক হাজারেরও কম মুসল্লি জড়ো হতে পেরেছেন হারাম-আল-শরিফে৷ অন্য সপ্তাহের তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই কম৷

গত রবিবার মসজিদের প্রবেশমুখে মেটাল ডিটেক্টোর বসানোর পর থেকে মুসল্লিরা হারাম-আল-শরিফের বাইরে রাস্তাতেই নামাজ পড়ছেন৷

বৃহস্পতিবারও ইসরায়েলি পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জেরুসালেমে অন্তত ২০ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছিলেন৷

গত ১৪ জুলাই মসজিদের প্রবেশপথে দুই পুলিশ অফিসারকে গুলি করে মেরে ফেলে তিন বন্দুকধারী৷ পুলিশের পালটা গুলিতে হামলাকারীরাও নিহত হয়৷ ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বলছে, এ কারণেই মসজিদে এত কড়াকড়ি৷

সূত্রমতে, ইসরায়েলের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থাও মসজিদের প্রবেশমুখে মেটাল ডিটেক্টর বসানোর বিষয়ে দ্বিধায় ছিল৷ পুলিশ এ বিষয়ে অনড় থাকলেও সেনাবাহিনী এবং শিন বেট সিকিউরিটি সার্ভিস এই সিদ্ধান্ত অপ্রয়োজনীয় বলে মত দিয়েছিল৷

তবে বৃহস্পতিবার এক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু মেটাল ডিটেক্টর না সরানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং পুলিশকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দেন৷

মক্কা এবং মদিনার পর হারাম আল-শরিফকেই তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান হিসেবে মনে করে মুসলিমরা৷

এডিকে/ডিজি (রয়টার্স, এপি)