1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে সিরিয়া

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বিশ্বের ২০টি প্রধান ও উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তির দেশ নিয়ে গঠিত জি-টোয়েন্টির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুক্রবার জার্মানির বন শহরে শেষ হয়েছে৷ অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে সিরিয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2XlzZ
Deutschland G 20 Außenministertreffen in Bonn- PK Jean-Marc Ayrault und Sigmar Gabriel
সিরিয়া নিয়ে আলোচনার বিষয়ে জানাচ্ছেন ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাছবি: picture-alliance/abaca/C. Karadag

শুক্রবার জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের শেষ দিনে মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে ‘ফ্রেন্ডস অফ সিরিয়া’র সদস্যরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন৷ আগামী বৃহস্পতিবার সিরিয়া নিয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের উদ্যোগে শুরু হতে যাওয়া বৈঠক নিয়ে তাঁরা কথা বলেন৷ ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জর্ডান, আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক, ইইউ ও সৌদি আরবের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন৷

বৈঠক শেষে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্য-মার্ক অ্যারু সিরিয়া নিয়ে জেনেভায় অনুষ্ঠেয় আলোচনার সফলতার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে বিষয়টি বেশ জটিল, এবং এক্ষেত্রে সফল হওয়া সহজ হবে না৷

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিগমার গাব্রিয়েলও বলেন, সামনে এগোনোর পথ কঠিন হবে৷

এদিকে, সিরিয়ায় ছয় বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ বন্ধে রাশিয়াকে ‘গঠনমূলক ভূমিকা’ পালনের অনুরোধ জানিয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি৷ ‘‘সব বিদ্রোহীকে যেন সন্ত্রাসী হিসেবে দেখা না হয় সেটি নিশ্চিত করতে রাশিয়া ও ইরানকে সিরিয়ার প্রতি অবশ্যই আহ্বান জানাতে হবে,’’ বলেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷

মিত্রদের আশ্বস্ত করলেন টিলারসন

নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে এসে মিত্রদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, সিরিয়া সংকটের সমাধানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছে না৷ জাতিসংঘের উদ্যোগে জেনেভায় যে শান্তি আলোচনা হবে সেটির প্রতিই যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আছে বলে জানান তিনি৷

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাশিয়া তুরস্ক আর ইরানের সহায়তায় সিরিয়া নিয়ে শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে৷ কাজাখস্থানে একটি বৈঠকেরও আয়োজন করেছিল রাশিয়া৷ সেখানে সিরিয়ার বিরোধীরা উপস্থিত ছিলেন৷ কিন্তু ঐ বৈঠক শেষে কোনো যৌথ বিবৃতি ঘোষণা করা হয়নি৷ এছাড়া সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠীগুলোও একে অপরের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে পারেনি৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)