‘জার্মান নির্বাচনে কে জিতবে তা এখনো অনিশ্চিত’
১০ সেপ্টেম্বর ২০২১জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচনের আর প্রায় দুই সপ্তাহ বাকি৷ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী ভোটারদের মনোভাবে এখনো কোনো মৌলিক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না, বরং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতা সম্পর্কে বদ্ধমূল ধারণা আরও জোরালো হচ্ছে৷ বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবিরের জনপ্রিয়তা ধারাবাহিকভাবে কমে চলেছে৷ অন্যদিকে বিদায়ী জোট সরকারের ছোট শরিক এসপিডি দল আরও বেশি ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে৷ এমন পরিস্থিতির কারণ হিসেবে মূলত দুই শিবিরের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর ভাবমূর্তি তুলে ধরা হচ্ছে৷ আরমিন লাশেট এমনকি নিজের রাজনৈতিক শিবির ও সমর্থকদেরও দ্বিধাহীন সমর্থন আদায় করতে পারছেন না৷ অন্যদিকে ক্যারিসমার অভাব সত্ত্বেও পোড়খাওয়া ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে ওলাফ শলৎস আরো বেশি মানুষের আস্থা অর্জন করছেন৷
এমন প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার খোদ ম্যার্কেল বলেছেন, যে জার্মানিতে এবারের নির্বাচনের ফলাফল এখনো অনিশ্চিত৷ তাঁর মতে, নির্বাচনি প্রচারে সত্যিকারের সংঘাত দেখা যাচ্ছে৷ নির্বাচনের দিনেই আসল ফয়সালা হবে৷ জনমত সমীক্ষার বদলে সেই ফলাফলকেই গুরুত্ব দিতে চান ম্যার্কেল৷ তবে দীর্ঘ ১৬ বছর দেশের নেতৃত্বের পর ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে আবার ভোটারদের আস্থা অর্জন করা যে কঠিন, ম্যার্কল সে কথাও স্বীকার করেন৷ ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চ্যান্সেলর পদ ধরে রাখা যায় না৷
ম্যার্কেল এখনো নিজের শিবিরের জয়ের সম্ভাবনা দেখলেও বাভেরিয়ার মুখ্যমন্ত্রী ও সিএসইউ দলের নেতা মার্কুস স্যোডার বলেছেন, আসন্ন সপ্তাহান্তের মধ্যে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে ইউনিয়ন শিবিরের পক্ষে আগামী সরকারের নেতৃত্ব দেবার সম্ভাবনা আরও কমে যাবে৷ এদিকে ‘ডেয়ার স্পিগেল' পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিএসইউ দলের সাধারণ সম্পাদক মার্কুস ব্লুমে বলেন, লাশেটের বদলে স্যোডার ইউনিয়ন শিবিরের প্রার্থী হলে এমন অবস্থা হতো না৷
সিডিইউ ও সিএসইউ দলের কোণঠাসা প্রার্থী আরমিন লাশেট বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নানা কঠিন ও অপ্রিয় প্রশ্নের জবাব দিয়ে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করেন৷ বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ক্যামেরার সামনে হাসির ঘটনাকে নিজের ভুল হিসেবে আবার স্বীকার করেন তিনি৷
নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবার পর ইউনিয়ন ও এসপিডি দলের মধ্যে আসনসংখ্যায় তেমন ফারাক না থাকলে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তিই যে আগামী সরকারের নেতৃত্ব দেবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই৷ ১৯৭৬ সালে এমন পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে উদারপন্থি এডিপি দলের নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার এবারেও ‘কিংমেকার' হিসেবে নিজের দলের সম্ভাব্য ভূমিকার ইঙ্গিত দিয়েছেন৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)