1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি জুড়ে রাশিয়াপন্থিদের মিছিল

১১ এপ্রিল ২০২২

রোববার বার্লিন-সহ জার্মানির একাধিক শহরে মিছিল করেছে রাশিয়াপন্থিরা। নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ করেছে তারা।

https://p.dw.com/p/49kWX
জার্মানি
ছবি: Thomas Lohnes/Getty Images

জার্মানিতে সবমিলিয়ে প্রায় এক দশমিক দুই মিলিয়ন রাশিয়ার মানুষের বাস। বস্তুত, ইউরোপের মধ্যে জার্মানিতেই সবচেয়ে বেশি রাশিয়ার মানুষ বাস করেন বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য। অন্যদিকে ইউক্রেনের মানুষ থাকেন তিন লাখ ২৫ হাজার। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে অবশ্য সংখ্যাটি অনেকটাই বেড়েছে। আরো লাখতিনেক ইউক্রেনবাসী শরণার্থী হয়ে জার্মানিতে এসে পৌঁছেছেন। এই পরিস্থিতিতেই রোববার জার্মানির একাধিক শহরে রাশিয়াপন্থিরা মিছিলের আয়োজন করে।

ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রায় ৬০০ মানুষের মিছিল হয়। হ্যানোভারেও প্রায় একই সংখ্যক মানুষ মিছিল করেছেন। ৩৫০টি গাড়ির একটি কনভয় বার করা হয় সেখানে। স্টুটগার্টে ১৯০টি গাড়ির কনভয় বার করা হয়। মিছিল হয়েছে বার্লিনেও। রাশিয়াপন্থিদের অভিযোগ, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পরে জার্মানিতে রাশিয়ার নাগরিকদের উপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে। তাদের একঘরে করার চেষ্টা হচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা। বস্তুত, এই অভিযোগ সামনে রেখেই শনি এবং রোববার তারা একাধিক মিছিলের আয়োজন করেন। তাদের হাতে ছিল রাশিয়ার পতাকা।

পুলিশের বক্তব্য, ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে ৩৮৩টি হেট ক্রাইম হয়েছে। অর্থাৎ, রাশিয়ার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ইউক্রেনের নাগরিকদের উপর আক্রমণ হয়েছে ১৮১টি। অর্থাৎ, রাশিয়ার নাগরিকদের উপর যে আক্রমণ হচ্ছে, তা স্বীকার করে নিচ্ছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, সব আক্রমণ রেকর্ডও করা হচ্ছে না। পুলিশ যে সংখ্যা বলছে, তার চেয়ে বেশি আক্রমণ হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে রাখলেও আসলে যুদ্ধের সমর্থনেই একের পর এক মিছিলের আয়োজন করছে জার্মানিতে বসবাসকারী রাশিয়ানরা। এর প্রতিবাদে ইউক্রেনের সমর্থনেও একাধিক মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। রাশিয়ানরা অবশ্য বলছেন, যুদ্ধের সমর্থনে তারা মিছিল করছেন না। নিরাপত্তার প্রশ্ন সামনে রেখেই তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

কেন রাশিয়ানদের এ ধরনের মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে, সে প্রশ্ন তুলেছেন বার্লিনে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত। তার বক্তব্য, এ ধরনের মিছিলের অনুমতি দিয়ে জার্মানি ইউক্রেনের মানুষের যন্ত্রণা আরো বাড়াচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)