জার্মানিতে শিক্ষার্থীরা যেভাবে বসবাস করেন
এর আগে কখনো প্রথম সেমিস্টারে এত ছাত্র দেখা যায়নি৷ ক্লাসে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি থাকার জায়গাও তো চাই? থাকার জায়গা পাওয়া কিন্তু মোটেই সহজ ব্যাপার নয়৷ এই ছবিঘরের মধ্য দিয়ে জানা যাক কে কোথায় জায়গা পায়৷
অনিশ্চয়তা
নতুন সেমিস্টার শুরু হয়েছে, কিন্তু হোস্টেলগুলোতে জায়গা নেই৷ এখন শিক্ষার্থীরা কি করবে? মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই তো চাই! একটা ব্যবস্থা তো করতেই হবে! মিউনিখ এবং ফ্রাংকফুর্ট সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর৷ বাভারিয়া রাজ্য একটি ঘর ভাড়া গড়ে ৪৯৩ ইউরো আর ফ্রাংকফুর্টে ৪২১ ইউরো৷
মায়ের কাছে থাকা
শতকরা ২৭ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনার সময় মায়ের কাছেই থাকে৷ এতে করে শুধু যে খরচ কম হয় তা নয়, মায়ের কাছে থাকার আরামই আলাদা৷ কাপড়চোপড় সবসময় ধোঁয়া থাকে আর ফ্রিজ থাকে ভর্তি, অর্থাৎ খাওয়া-দাওয়ার চিন্তা নেই৷ তাছাড়া সন্তান যত বড়ই হোক না কেন বাবা-মায়ের কাছে তারা সবসময়ই আদরের৷
জরুরি অবস্থায় জিমে থাকা
প্রথম সেমিস্টারে প্রায় সমস্যা হয় বড় শহরগুলোতে, বিশেষ করে মিউনিখ, কোলোন বা ফ্রাংকফুর্টে৷ এত ভাড়া দিয়ে অনেকের পক্ষেই বাসা নেওয়া সম্ভব হয় না, তাই অনেক সময় ক্যাম্পাসের জিমে একটি ম্যাট্রেস পেতেই রাতে ঘুমোতে হয়৷
হোস্টেলে জায়গা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার!
শতকরা মাত্র ১২ জন ছাত্র হোস্টেলে জায়গা পেয়ে থাকে৷ বেশিরভাগ সময় সেখানে দুই তিনজনকে একসাথে থাকতে হয়৷ কোলোনের একটি ছাত্রদের হোস্টেলের ভাড়া ২৩০ ইউরো৷
থাকার জন্য কন্টেনার
৮০’র দশক থেকেই অনেক ছাত্র কন্টেনার-এ থাকা শুরু করে৷ কন্টেনার ঘরগুলো খুবই ছোট ছোট৷
নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে থাকা
কোনো কোনো মালিক তাঁদের ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল বা স্কুলের ঘরগুলো একেবারে খালি রাখতে চান না৷ তাই অনেক সময় ছাত্রদের নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে সেখানে থাকতে দেন৷ তবে সেখানে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়৷ যেমন ধূমপান করা, কুকুর-বেড়াল পোষা বা কোনো ধরনের পার্টি করার অনুমতি থাকেনা সেখানে৷
বিদায় বাড়ি !
তবে সব শিক্ষার্থী কিন্তু বাবা-মায়ের সাথে থাকতে পারেনা কারণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রায়ই থাকে বাড়ি থেকে অনেক দূরে৷ অর্থাৎ মায়ের হোটেল থেকে এবার বিদায়ের পালা!