জার্মানিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার জট খুলছে?
২৩ নভেম্বর ২০১৭জার্মানিতে বর্তমানে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে, বৃহস্পতিবারই তার জট কাটতে পারে বলে আশা করছেন অনেকেই৷ জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার গত কয়েকদিনে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ‘জামাইকা’ জোটের শরিক দলগুলির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন৷ বৃহস্পতিবার তিনি এসপিডি দলের নেতা মার্টিন শুলৎসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন৷ শুলৎস যদি মহাজোট সরকার গঠনের প্রশ্নে কিছুটা নমনীয়তা দেখান, সে ক্ষেত্রে দেশে নতুন নির্বাচন এড়িয়ে স্থিতিশীল এক সরকার গঠন করা সম্ভব হতে পারে৷
জার্মানির ডিপিএ সংবাদ সংস্থাকে প্রেসিডেন্ট স্টাইনমায়ার বলেছেন, বর্তমান কঠিন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এসপিডি দল তার দায়িত্ব সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন৷ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশের জন্য এক ভালো সমাধানসূত্র পাওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন৷
নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবার পর থেকে চলতি সপ্তাহের শুরু পর্যন্ত মহাজোট সরকারের শরিক হবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে এসেছে এসপিডি নেতৃত্ব৷ কিন্তু বর্তমানে দলের মধ্যে এই প্রশ্নে মতভেদ দেখা যাচ্ছে৷ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় নমনীয়তা দেখানোর জন্য চাপ বাড়ছে মার্টিন শুলৎসের উপর৷ কিছু নেতা বলছেন, সরাসরি মহাজোট সরকারের অংশ না হয়েও ম্যার্কেলের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়া যেতে পারে৷ তবে সেই সরকারকে এসপিডি দলের কিছু প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার অঙ্গীকার করতে হবে৷
সংখ্যালঘু সরকার গঠনের প্রশ্নে অবশ্য বাকি দলগুলির মধ্যে তেমন উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না৷ তার চেয়ে বরং নতুন নির্বাচনই তাদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল-ও সংখ্যালঘু সরকারের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷ সংসদে তাঁর দলের নেতা ফল্কার কাউডার আবার মহাজোট সরকার গঠনের পক্ষে সওয়াল করেছেন৷
জার্মানির জন্য প্রথম হলেও ইউরোপের অনেক দেশে সংখ্যালঘু সরকার গঠনের দৃষ্টান্ত রয়েছে৷ বিশেষ করে সুইডেন ও ডেনমার্কে কয়েক দশক ধরে এমন সরকার ক্ষমতায় থেকেছে৷ তবে সেখানে সংসদে একটি করে কক্ষ থাকায় ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে সমস্যা হয়নি৷ জার্মানিতে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হলে উচ্চ কক্ষে রাজনৈতিক দলগুলির শক্তির অনুপাতও খেয়াল রাখতে হবে৷ জার্মানির কিছু রাজ্যে অবশ্য সংখ্যালঘু সরকারের দৃষ্টান্ত রয়েছে৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স , এএফপি)