জার্মানিতে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে জলবায়ু সম্মেলন
৭ জুলাই ২০১১সম্মেলনের শিরোনাম, ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ক্লাইমেট চেইঞ্জ - এফেক্টস অ্যান্ড এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অফ বাংলাদেশ, সংক্ষেপে আইসিসিইবি৷ এই উপলক্ষে ৬ জুলাই বন বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা জানান, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির পেছনে প্রচলিত জ্বালানি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে৷ তাই তারা চাইছেন, পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার বাড়ুক৷ কারণ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত জরুরি৷
আগামী ২১ থেকে ২৩ জুলাই বন শহরে জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ এই প্রসঙ্গে আইসিসিইবি'র মহাসচিব মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘‘এটি একটি সাইন্টেফিক কনফারেন্স৷ আমাদের কনফারেন্সের বিভিন্ন টপিকের উপরে আর্টিকেল আমরা গ্রহণ করেছি৷ এছাড়া কনফারেন্সের তিনটি প্যানেল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যে আলোচনাগুলো তা ধারণ করা হবে৷ বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য এবং পৃথিবীর ক্লাইমেট চেইঞ্জ মোকাবিলা এবং এনার্জি ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে কী কী উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে রেজ্যুলেশন হবে৷''
আয়োজকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নের ছবি ফুটিয়ে তুলতেও এই সম্মেলন বিশেষ ভূমিকা পালন করবে৷ সম্মেলনের কো-চেয়ারম্যান গোলাম আবু জাকারিয়া বলেন, ‘‘এখন বাংলাদেশ সর্বকালের সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে৷ কারণ আমাদের জনসাধারণ ৭২ সালের চেয়ে দ্বিগুন হওয়ার পরেও আমাদের প্রো ইনকাম ভালো৷ দেশের উন্নতি হচ্ছে৷''
বন শহরে সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ ড. ভল্ফগাং-পেটার সিঙেল৷ তাঁর মতে, বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন এবং এরফলে সম্ভাব্য ক্ষতির দিক নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের তরুণ গবেষকরা নিজেদের মধ্যে এবং আমাদের সঙ্গেও এই বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করছে৷ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার সুযোগ তৈরি করতে তারাও তৎপর৷''
উল্লেখ্য, বন শহরে এই জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজক যথাক্রমে বিএসইজেড এবং বিইএন- জার্মানি৷ এছাড়া সহযোগিদের তালিকায় রয়েছে বন বিশ্ববিদ্যালয়৷ সম্মেলনের ওয়েবসাইটের ঠিকানা: icceb.info৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক