ফুটবল মাঠে নিরাপত্তা
১৩ ডিসেম্বর ২০১২বুধবার ফ্রাংকফুর্টে একটি সম্মেলনে স্টেডিয়ামে নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই প্রস্তাবাবলী গৃহীত হয়৷ জার্মান ফুটবল লিগ ডিএফএল ছিল এই সম্মেলনের উদ্যোক্তা৷
প্রস্তাবগুলি পেশ করা হয় ‘‘স্টেডিয়ামে নিরাপদ অভিজ্ঞতা'' নামধারী একটি শ্বেতপত্রে৷ ফুটবল ফ্যানরা কিন্তু গোড়া থেকেই এই নতুন কর্মসূচির অনেক সূত্রে এবং শর্তে সন্তুষ্ট নয়৷ এবং তারা তাদের সেই অসন্তোষ জানিয়েছে অভিনব পন্থায়৷ যেহেতু ডিএফএল'এর সম্মেলনটি ১২.১২.১২ তারিখে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেহেতু ফ্যানরা সপ্তাহান্তের বহু ম্যাচ শুরু হবার প্রথম বারো মিনিট বারো সেকেন্ড পুরোপুরি নীরব থেকেছে৷ এই পন্থায় তারা স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছে, স্টেডিয়ামে ফ্যানরা না থাকলে বুন্ডেসলিগার কি দশা হতে পারে৷
ফ্রাংকফুর্টে বুন্ডেসলিগার মাত্র একটি দল, কোলোন, এবং দ্বিতীয় ডিভিশনের একটি দল, সাংক্ত পাউলি, শ্বেতপত্রটি প্রত্যাখ্যান করেছে৷ দু'টি ক্লাবের ফ্যানরাই বিশেষরকম উগ্র ফ্যান৷ বুধবার ফ্রাংকফুর্টের শেরাটন কংগ্রেস হোটেলের সামনে এ'ধরণের পোড়-খাওয়া ফ্যানরাই হাতে লাল শালু নিয়ে বিক্ষোভ জানিয়েছে৷
মিডিয়ার চাপ, রাজনীতির তাগিদ
গত মরসুমে তো বটেই, এমনকি চলতি মরসুমের সূচনাতেও একাধিক স্টেডিয়ামে একাধিক ম্যাচে গোলযোগের সৃষ্টি হয়েছে ফ্যানদের উচ্ছৃঙ্খলতার কারণে৷ গত সোমবার ছিল জার্মান কাপের একটি খেলা, হ্যানোভার এবং ড্রেসডেনের মধ্যে৷ সেখানে গোলযোগ ঘটায় জার্মান ফুটবল সমিতি ডিএফবি হ্যানোভারকে অর্থদণ্ড দিয়েছে এবং ড্রেসডেনকে জার্মান কাপ থেকে বাদ দিয়েছে - খুবই কড়া শাস্তি, যেন ডিএফবি দেখানোর চেষ্টা করছে যে, তাদের ধৈর্য্যেরও একটা সীমা আছে৷
ইতিপূর্বে ফুটবল ফ্যানদের দাঙ্গা সংক্রান্ত একটি সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয় যে, জার্মান ফুটবলে ফ্যানদের সহিংসতা বাড়ছে৷ অপরদিকে চাপ আসে নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়ার মতো রাজ্যের তরফ থেকে, যাদের এলাকায় একাধিক প্রথম সারির ক্লাব রয়েছে৷ এই সব ক্লাবের ফুটবল খেলায় পুলিশি ব্যবস্থা করতে সরকারের খরচ চরমে গিয়ে পৌঁছেছে৷ এই সব রাজ্য চায় সেই ব্যয় কমাতে৷ শ্বেতপত্রেই রয়েছে, ক্লাবগুলো এই পুলিশি খরচার একাংশ বহন করবে৷
অপরাপর ব্যবস্থার মধ্যে স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় পুরো বডি সার্চ, স্টেডিয়ামে আরো বেশি ভিডিও ক্যামেরা বসানো এবং স্বভাবতই গুণ্ডাদের জন্য আরো কড়া শাস্তি: যেমন তাদের স্টেডিয়ামে ঢোকাই নিষেধ করে দেওয়া৷ স্টেডিয়ামে রংমশাল গোত্রীয় বাজি নিয়ে ঢোকা এমনিতেই নিষেধ ছিল, এখন সে নিয়ন্ত্রণ আরো কার্যকরি করা হবে৷
ওদিকে ফ্যানদের মূল চিন্তা হল: এ'সবের ফলে আবার স্টেডিয়ামে টিকিটের দাম বাড়বে না তো?
এসি / জেডএইচ (ডিপিএ, এসআইডি)