ট্রাম্প-পুটিন আলোচনা
৩ মে ২০১৭মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পেছনে রাশিয়ার হাত নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই৷ এমন প্রেক্ষাপটেওয়াশিংটনে ক্ষমতাকেন্দ্রের উপর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা কম নয়৷ ট্রাম্প ও পুটিন এতকাল শুধু টেলিফোনে কথা বলেছেন৷ মঙ্গলবারের আলোচনায় দুই নেতা প্রথম সাক্ষাতের পরিকল্পনাও করে ফেললেন৷ জার্মানির হামবুর্গ শহরে আগামী ৭ ও ৮ই জুলাই জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে দুই নেতাই উপস্থিত থাকবেন৷ তখনই প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সেরে ফেলার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তাঁরা৷
গত ৪ঠা এপ্রিল সিরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দুই দেশের সম্পর্কে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল৷ এর মধ্যে ট্রাম্প ও পুটিন টেলিফোনে কথাও বলেননি৷ মঙ্গলবারের আলোচনায় সিরিয়া প্রসঙ্গও উঠে আসে৷ সে দেশে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে দুই দেশ কাজ করার অঙ্গীকার করেছে৷ কাজাখস্তানে বুধ ও বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতি নিয়ে যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, অ্যামেরিকা সেখানে প্রতিনিধি পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস৷ উত্তর কোরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে চরম ইসলামপন্থি জঙ্গিদের মোকাবিলার বিষয়েও আলোচনা করেন ট্রাম্প ও পুটিন৷
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সম্পর্কে প্রথমবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন পরাজিত ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন৷ নিউ ইয়র্কে এক সভায় তিনি বলেন, ভ্লাদিমির পুটিন ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর প্রধান জিম কোমি ভোটারদের ভয় দেখিয়ে তাঁর থেকে দূরে সরিয়ে দেবার চেষ্টা করেছিলেন৷ তাঁর মতে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ‘ই-মেল কেলেঙ্কারি' নিয়ে মোক্ষম সময়ে আরও তদন্তের প্রয়োজনীয়তার কথা লিখে এফবিআই প্রধান কোমি তাঁর ভাবমূর্তির ক্ষতি করেন৷ সেইসঙ্গে পুটিন তাঁর প্রতিপক্ষকে সাহায্য করতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে তাঁর অভিযোগ৷ গত বছর ৭ই অক্টোবর নারীদের সম্পর্কে ট্রাম্পের বিরূপ মন্তব্যের টেপ প্রকাশিত হবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উইকিলিক্স ক্লিন্টনের সহকর্মীদের কিছু ই-মেল ফাঁস করে দেয়৷ একইসঙ্গে অবশ্য তিনি নির্বাচনি প্রচারের সময় নিজের কিছু ভুলও স্বীকার করেন৷
এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)