1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে টিকাদান কর্মসূচির দুর্বলতা কাটাতে শীর্ষ বৈঠক

১৯ মার্চ ২০২১

অ্যাসট্রাজেনিকা কোম্পানির টিকা নিয়ে সর্বশেষ সংশয় দূর হবার পর জার্মানিতেও সেই টিকা আবার চালু হচ্ছে৷ এদিকে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকায় লকডাউন শিথিল করার বদলে আরো কড়াকড়ির সম্ভাবনা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/3qr2u
জার্মানিতে করোনার টিকা দেয়া চলছে
ছবি: Maja Hitij/Getty Images

বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ওষুধ সংস্থা ইএমএ এই টিকাকে আবার নিরাপদ ঘোষণা করার পর শুক্রবার থেকেই ইউরোপের অনেক দেশের সঙ্গে জার্মানিতেও অ্যাসট্রাজেনিকা টিকার উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে৷ ইএমএ অবশ্য রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করার পরামর্শ দিয়েছে৷

জার্মানিতে করোনা সংকট মোকাবিলায় টিকাদান কর্মসূচি একের পর এক বাধার মুখে পড়ছে৷ সার্বিকভাবে টিকার সরবরাহ ও বণ্টনের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নানা সমস্যার পাশাপাশি অ্যাসট্রাজেনিকা কোম্পানির টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি গোটা কর্মসূচির গতি আরো কমিয়ে দিয়েছে৷ এই টিকার নিরাপত্তা নিয়ে বার বার সংশয়ের কারণে সাধারণ মানুষের কাছে সেটির গ্রহণযোগ্যতা কমে চলেছে৷ অ্যাসট্রাজেনেকা কোম্পানিও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যথেষ্ট টিকা সরবরাহ করছে না৷ ইএমএ-র রায়ের পর জার্মানিতে টিকাদান কর্মসূচির সমস্যাগুলি দূর করার লক্ষ্যে শুক্রবার ফেডারেল ও রাজ্য সরকারগুলির শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ টিকাদান কেন্দ্রের পাশাপাশি ডাক্তারের চেম্বারেও টিকা দেবার সিদ্ধান্ত কার্যকর করার সময়সূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে৷

এদিকে জার্মানিতে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে চলেছে৷ রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের সূত্র অনুযায়ী শুক্রবার সেই সংখ্যা ১৭,৪৮২ ছুঁয়েছে৷ ফলে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সাপ্তাহিক গড় সংক্রমণের হার ৯০ পেরিয়ে একশোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ এর আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একশোর মাত্রা পেরোলে আরো কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা৷ এই অবস্থায় লকডাউন শিথিল করার পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসছে একের পর এক রাজ্য সরকার৷ আগামী সোমবার চ্যান্সেলর ম্যার্কেল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন৷ চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন কড়াকড়ির ঘোষণা করা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷

জার্মানির করোনা সংক্রমণের ‘তৃতীয় ঢেউ’ এমনকি বড়দিন উৎসবের সময়কার রেকর্ড ভাঙতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন৷ কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করার কারণে এবং করোনা ভাইরাসের আরও ছোঁয়াচে সংস্করণ ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷ তবে কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, সংক্রমণ সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষার বেড়ে চলা সুযোগের বিষয়টিও বিবেচনা করা উচিত৷ কারণ বেশি মানুষের পরীক্ষা হলে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়তে বাধ্য৷ 

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)