খদ্দেরের বেশে দোকান থেকে চুরি
২১ জুন ২০১৬অপরাধ পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সালে জার্মানিতে প্রায় চার লাখ ‘শপলিফটিংয়ের' ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে সাত শতাংশ বেশি৷ জার্মানির বাণিজ্য সংস্থা এইচডিই মঙ্গলবার জানিয়েছে, ‘‘খদ্দেরের বেশে চুরি করাদের মধ্যে শিশু, তরুণ, প্রাপ্তবয়স্ক, এমনকি পেনশনভোগীরাও রয়েছেন৷''
শপলিফ্টিংয়ের কারণে খুচরা বিক্রেতাদের বছরে গড়ে দুই দশমিক এক বিলিয়ন ইউরোর আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে৷ এইচডিই মুখপাত্র স্টেফেন হার্টেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এটা একটা বড় অঙ্ক যা অগ্রাহ্য করার উপায় নেই৷
কোলনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইএইচআই জানিয়েছে, শপলিফটিংয়ের ৯৮ শতাংশ ঘটনাই অলক্ষ্যে থেকে যায়৷ প্রতিষ্ঠানটির বিশেষজ্ঞ ফ্রাংক হর্স্ট জানিয়েছেন, সাধারণ চোরেরা ছোট ছোট জিনিস চুরি করে যেগুলোর মূল্য ৮০ ইউরোর বেশি নয়৷ পারফিউম, রেজার ব্লেড, কসমেটিকস এবং কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক্স চুরি হয় বেশি৷
তবে তিনি জানান, সংঘবদ্ধ চোরেরা দামি জিনিসও দোকান থেকে চুরি করে৷ হর্স্ট বলেন, ‘‘তারা দেড় হাজার থেকে দু'হাজার ইউরো দামের জিনিস নিয়ে আনায়াসে বেরিয়ে যায়৷ দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, এরকম চুরির ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে৷''
চুরির ধরণ সবসময়ই একরকম, জানান স্টেফেন হার্টেল৷ তিনি বলেন, ‘‘একদল লোক দোকানে ঢোকে৷ তাদের একজন দোকানের সহকারিকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে ব্যস্ত রাখে আর বাকিরা যতটা সম্ভব জিনিস চুরি করে৷ মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ঘটে যায় পুরো ঘটনা৷''
এআই/এসিবি (ডিপিএ, এআইরডি)