জার্মানিতে কেন পালিত হয় ‘ফ্রনলাইশনাম’?
ইস্টার রবিবার থেকে গুনে গুনে ৬০ দিন পরেই ‘ফ্রনলাইশনাম’৷ জার্মানিতে সাধারণ জনগণের কাছে তা স্রেফ ছুটির দিন হলেও, এর বৈশিষ্ট্য কী, জানুন ছবিঘরে...
এক এক শহরে এক এক রকম
কর্পাস ক্রিস্টি বা ফ্রনলাইশনাম উৎসব রাষ্ট্রীয় ছুটি হিসাবে পালিত হয় বিশ্বের একাধিক ক্যাথলিক দেশে, যার মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, মেক্সিকো, বলিভিয়া, ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়াসহ মোট ২৩টি দেশে৷ যদিও সব দেশে সমানভাবে পালিত হয় না এই উৎসব, কিন্তু অঞ্চলভেদে এই ধর্মীয় উৎসবও হয় ভিন্ন৷ জার্মানির মিউনিখে যেমন ফ্রানলাইশনামের দিন মাদার মেরি’কে কাঁধে করে বয়ে নিয়ে চলেন বিশ্বাসীরা৷
‘ফ্রনলাইশনাম‘ মানে?
জার্মান ভাষায় ‘ফ্রন’ শব্দের অর্থ পুরুষ, ও ‘লাইশনাম‘ কথাটি এসেছে প্রাণযুক্ত শরীর থেকে৷ ইস্টার রবিবারের ৬০দিন পরের এই দিনেই নাকি প্রাণ সঞ্চিত হয় যীশু খ্রীষ্টের শরীরে৷ ক্যাথলিক বিশ্বাসীদের কাছে এই দিনটি মূলত যীশু’র প্রাণশক্তি উদযাপনের দিন৷
নদীবক্ষে ফ্রনলাইশনাম
রাইন নদীর তীরে অবস্থিত কোলোন শহরে এই উৎসব পালনের রীতি কিছুটা ভিন্ন৷ গ্রীষ্মকালীন এই উৎসবের দিনে ক্যাথলিক ধর্মে বিশ্বাসীরা রাইন নদীতে নৌকাভ্রমনে বের হন৷ ধর্মীয় গুরুত্ব থাকার ফলে এই দিনের বিশেষ নৌকায় তাদের সঙ্গী হয় একটি বিশাল আকারের ক্রুশ৷
জেহয়জেন-এও নৌকা?
কোলোন শহরে ফ্রনলাইশনাম পালিত হয় রাইন নদীতে জাহাজের আকারের নৌকা চড়ে৷ কিন্তু জার্মানির দক্ষিণের অঙ্গরাজ্য বায়ার্নের জেহয়জেন শহরে ফ্রনলাইশনাম পালিত হয় ছোট আকারের একপাল নৌকায় চড়ে৷ নৌকা চেপে ভ্যোর্ঠ নামের একটি দ্বীপে যান তারা, যেখানে রয়েছে একটি গির্জা৷
ফুলে ফুলে ফ্রনলাইশনাম
জার্মানির সবক’টি অঞ্চলে পালিত হয়না এই উৎসব৷ বায়ার্ন বা নর্থ রাইন ভেস্টফালেন রাজ্য ছাড়াও এটি পালিত হয় বাডেন ভ্যুর্টেমবের্গ রাজ্যেও৷ কিন্তু স্থানীয় লোকচর্চাকে মাথায় রেখে এই উৎসবের দিন বাসিন্দারা ফুল দিয়ে সাজান গোটা শহর৷ যীশুর উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয় ফুলের গালিচাও৷