টিকা পেলে কিছু ছাড়ের সম্ভাবনা
২৬ এপ্রিল ২০২১করোনা সংকট মোকাবিলায় গত সপ্তাহান্ত থেকে জার্মানিতে ‘এমারজেন্সি ব্রেক' চালু হবার পর পরিস্থিতির উন্নতির আশা করছে সরকার ও প্রশাসন৷ রাতে কারফিউ-সহ কড়া পদক্ষেপের মাধ্যমে দৈনিক সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা চলছে৷ সেইসঙ্গে করোনা টিকার সরবরাহ বাড়ার ফলে দেশের প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের আরও দ্রুত টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ কিছু রাজ্য এমনকি টিকার দ্বিতীয় ডোজ সরিয়ে রাখার নীতি ত্যাগ করে রিজার্ভ খুলে দিচ্ছে৷ জুন মাসের মধ্যে সব প্রাপ্তবয়স্করা টিকা নেবার সুযোগ পাবেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান আশ্বাস দিয়েছেন৷ এমন প্রেক্ষাপটে যে সব মানুষের আর করোনায় আক্রান্ত হবার আশঙ্কা নেই, তাদের জন্য কিছু বাধানিষেধ তুলে নেবার দাবি উঠছে৷ যারা টিকা পেয়েছেন অথবা করোনার ধাক্কা সামলে উঠেছেন, তারা বিশেষ অধিকার পেতে পারেন৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা সোমবার সে বিষয়ে আলোচনায় বসছেন৷
সার্বিক সতর্কতা বজায় রেখেই টিকাপ্রাপ্ত মানুষের জন্য কিছু ছাড় দেবার কথা ভাবছে জার্মান সরকার৷ যেমন করোনা পরীক্ষার নেতিবাচক ফলাফল দেখিয়ে যেভাবে মানুষ দোকানবাজারে প্রবেশ করতে পারেন বা কিছু পরিষেবা গ্রহণ করতে পারেন, করোনা প্রতিরোধের ক্ষমতার প্রমাণ থাকলে বাকি মানুষও সেই সুযোগ পেতে পারেন৷ সংবাদ সংস্থা ডিপিএ আলোচনার খসড়া প্রস্তাবমালা উদ্ধৃত করে এমন দাবি করেছে৷ তবে মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়মে কোনো ব্যতিক্রমের কথা ভাবা হচ্ছে না৷
জার্মানির রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে তর্কবিতর্ক বাড়ছে৷ আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবিরের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী আরমিন লাশেট এক সংবাদপত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নীতিমালা অনুযায়ী যারা করোনার টিকা পেয়েছেন, তাদের আইনি অধিকার করোনা পরীক্ষায় নেতিবাচক ফলাফল পাওয়া মানুষের সমান হওয়া উচিত৷
জার্মানিতে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতির আশা সত্ত্বেও কড়া বিধিনিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন ম্যার্কেল৷ শনিবার তিনি তার সাপ্তাহিক ভিডিও পডকাস্টে বলেন, করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ ভাঙতে এই সব পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে৷ মহামারির বিরুদ্ধে সংগ্রামে এই সব বিধিনিয়মের প্রয়োজন ছিল বলে তিনি মনে করেন৷
করোমা মহামারির ক্ষেত্রে কোনো দেশের চলমান পরিস্থিতি কত দ্রুত বদলে যেতে পারে, ভারতের ভয়াবহ অবস্থা তা আবার স্পষ্ট করে দিয়েছে৷ বিশেষ করে সেখানকার অতি সংক্রামক ও বেশি মারাত্মক করোনার সংস্করণ ইউরোপের বেশ কিছু দেশে শনাক্ত হওয়ায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ জার্মানি ভারতকে অতি বিপজ্জনক এলাকা ঘোষণা করে সেখানে ভ্রমণে উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে৷ ফলে সে দেশ থেকে শুধু জার্মান নাগরিক ও জার্মানিতে বসবাসরত বিদেশিরা জার্মানিতে প্রবেশ করতে পারবেন৷ তবে ভ্রমণের আগে তাদের নেগেটিভ করোনা টেস্ট দেখাতে হবে এবং জার্মানিতে প্রবেশের পর কড়া কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনে চলতে হবে৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)