জার্মানরা যে সাতটি কাজ খুব ভালোবাসে
শুরুতেই বলে নিই, সব জার্মানই যে এগুলো পছন্দ করেন এমন না - তবে অনেকেই করেন৷ এখানে থাকছে তাদের অতি পছন্দের সাতটি কাজের কথা৷
বিয়ার
জার্মানদের চেয়ে বেশি বিয়ার পান করেন শুধু একটি জাতি– চেক৷ আর সব জার্মান যে বিয়ার পান করেন সেটাও ঠিক নয়৷ তবে বাস্তবতা হচ্ছে, জার্মান সমাজের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে বিয়ার৷ কোনো বয়স্ক নারীকে যদি সন্ধ্যায় বসে বিয়ার পান করতে দেখেন তাহলে তাকে ‘অ্যালকোহলিক’ ভাববেন না৷ আর বিয়ারের মুখ খোলার যে কত ক্রিয়েটিভ উপায় আছে তা তো বলেই শেষ করা যাবে না৷
পেপারওয়ার্ক
জার্মানরা তাদের কাগজপত্র গুছিয়ে রাখতে খুব ভালোবাসেন৷ বিশেষ করে অফিসিয়াল বিভিন্ন চিঠি ফাইলবন্দি করে দিনের পর দিন রেখে দেন তারা৷ আর না রেখে উপায়ও নেই৷ জার্মান বিভিন্ন দপ্তর থেকে একের পর এক চিঠি আসতেই থাকবে৷ জার্মানিতে নবাগতদের জন্য এসব চিঠি সামলানো শুরুতে একটু দুষ্করও হয়ে যায়৷
দরদাম
জার্মানি এমন এক দেশ যেখানে সুপারমার্কেটগুলো বিভিন্ন ডিসকাউন্ট অফারে পূর্ণ থাকে৷ আর কিছু মানুষ খুঁজে খুঁজে ডিসকাউন্টে বাজারসদাই করতে চান৷ তবে গরিব বলেন আর বড়লোক– ডিসকাউন্ট অফার সবাই কমবেশি নিতে চান৷
ভ্রমণ
জার্মানরা ভ্রমণ ভালোবাসেন৷ ছুটির মৌসুমে বিশ্বের প্রায় সব দেশে তাদের দেখা মিলবে৷ অবস্থা এমন যে, জার্মানির বাইরে কিছু জায়গাও জার্মানরা নিজেদের মতো করে গুছিয়ে নিয়েছে৷ যেমন স্পেনের দ্বীপ মায়োর্কা৷ সেখানকার বালারমান ৬ বারটি বলতে গেলে শুধু জার্মানদের জন্যই তৈরি৷
নগ্ন হয়ে ঘোরাঘুরি
হুম, অনেক জার্মান এটা পছন্দ করেন৷ তবে তার মানে এই নয় যে, রাস্তাঘাটে তাদের নগ্ন দেখা যাবে৷ সাধারণত বিভিন্ন সমুদ্রতটে এবং শহরের বিভিন্ন পার্কে বা লেকের কাছে নির্ধারিত স্থানে তারা নগ্ন হয়ে শুয়েবসে থাকতে বা ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করেন৷ সেসব জায়গায় সাধারণত ‘এফকেকে’ মানে ‘ফ্রাইকরপারকুল্টর’ বা ‘ফ্রি বডি কালচার’ সাইন দেখা যায়৷ ইদানিং অবশ্য এমন সাইনহীন জায়গাতেও গ্রীষ্মে তাদের নগ্ন দেখা যায়৷
রাস্তায় নিয়ম মেনে চলা
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে সিগন্যাল লাল থাকা সত্ত্বেও রাস্তা ফাঁকা থাকলে আপনি রাস্তা পার হতেই পারেন৷ তবে কেউ যদি তখন পেছন থেকে বলে যে, ‘‘এটা লাল,’’ তাহলে অবাক হবেন না৷ আসলে জার্মানরা গাড়ি থাক বা না থাক নিয়ম মেনে চলতেই পছন্দ করেন৷
‘স্ট্যামটিস’
এই শব্দের সঠিক বাংলা খুঁজে পাওয়া কঠিন৷ তবে ব্যাপারটা হচ্ছে, বিভিন্ন পাবে নিয়মিত খদ্দেরদের জন্য টেবিল রিজার্ভ করা থাকে৷ তারা সেই টেবিলে বসে কার্ড গেম খেলেন বা রাজনীতি নিয়ে আলাপ করেন৷ আর এখন তো ফেসবুকসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও বিভিন্ন মিট-আপের আয়োজন করা হয়৷ জার্মানিতে নবাগতরা চাইলে সেসব মিট-আপে যোগ দিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়তে পারেন৷