জাপানের দিকে আরো দুই মিসাইল উত্তর কোরিয়ার
৬ অক্টোবর ২০২২জাপানের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার এই আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আর উত্তর কোরিয়া বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অ্যামেরিকা যে সামরিক মহড়া করছে, তা মানা যায় না।
সিওল এবং টোকিও জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া যে দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে, দুইটিই স্বল্পদূরত্বের। মঙ্গলবারই উত্তর কোরিয়া মাঝারি পাল্লার ব্যালেস্টিক মিসইল ছোঁড়ে। সেই মিসাইল জাপান ছাড়িয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে।
তারপরই অ্যামেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া দুইটি করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অল্প সময়ের মধ্যে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লো উত্তর কোরিয়া।
দুই ক্ষেপণাস্ত্র
পিয়ংইয়ংয়ের কাছ থেকে ২২ মিনিটের ব্যবধানে দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩৫০ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয়টি ৯০০ কিলমিটার দূরে গিয়ে সমুদ্রে পড়ে।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামাদা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬০ কিলোমিটার উপর দিয়ে গিয়েছে। এই বিবরণ থেকে মনে করা হচ্ছে, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের অনুকরণে তৈরি মিসাইল ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া। মিসাইল ডিফেন্সকে বোকা বানাতে খুব নীচ দিয়ে যায় এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ।
অ্যামেরিকার অভিযোগ
উত্তর কোরিয়া এই দুই ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার পর অ্যামেরিকা অভিযোগ করেছে, উত্তর কোরিয়াকে সাহায্য করছে রাশিয়া ও চীন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মার্কিন দূতের অভিযোগ, উত্তর কোরিয়া দুইটি দেশের কাছ থেকে সুরক্ষা পাচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য দেশ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে সুরক্ষা দিচ্ছে।
জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধি গেং শুয়াং বলেছেন, চাপ দেয়ার জন্য কড়া কথা না বলে আলোচনায় বসা উচিত।
রাশিয়ার দূতের বক্তব্য, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কোনো লাভ হবে না। অ্যামেরিকা দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করছে বলেই এই অবস্থা হয়েছে বলে রাশিয়ার অভিযোগ।
সামরিক উত্তেজনা
উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার পর দক্ষিণ কোরিয়া ও অ্যামেরিকাও বুধবার মিসাইল ছোঁড়ে।
বৃহস্পতিবার ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার এক ঘণ্টা আগে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিওল এবং ওয়াশিংটন এই এলাকায় সামরিক মহড়া করে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। অ্যামেরিকা এয়ারক্র্য়াফট কেরিয়ার ইউএসএস রোনাল্ড রেগন দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে মোতায়েন করেছে। তারও নিন্দা করেছে উত্তর কোরিয়া।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)