জাতিসংঘে হলোকাস্ট অস্বীকারের নিন্দা জানানোর দাবি
২০ জানুয়ারি ২০২২জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আজ দুই দেশ হলোকাস্টের অস্বীকৃতিকে প্রত্যাখ্যান এবং নিন্দা জানানোর একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গ্রহণের জন্য উপস্থাপন করবে৷ ইসরায়েলের জার্মান রাষ্ট্রদূত সুজানে ভাসুম-রাইনের এবং জার্মানির ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত জেরেমি ইসাকারাওফ নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের আগে যৌথভাবে এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন৷ তারা বলছেছেন, ‘‘বিশ্বের সব রাষ্ট্রে এবং সমাজে বৈচিত্র, সহাবস্থান, সহনশীলতার প্রতি আশা আর উৎসাহের এক প্রতীক হবে এই প্রস্তাব৷ এই প্রস্তাব সবাইকে স্মরণ করাবে যে হলোকাস্টকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই বরং এমন ঘটনা আর যাতে না ঘটে সেটা মনে রাখতে হবে৷''
জার্মান পত্রিকা টাগেসস্পিগেল এবং ইসরায়েলের পত্রিকা মারিভে তাদের এই আপিল প্রকাশ হয়েছে৷
১৯৪২ সালে বার্লিনের ভানজে লেকের পাশে একটি ভিলাতে ভানজে সম্মেলন করেছিল নাৎসি নেতারা৷ সেই সম্মেলনে ইউরোপের ১ কোটি ১০ লাখ ইহুদিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল তারা৷ যদিও এই সম্মেলন অনুষ্ঠানের আগে থেকেই ইহুদি গণহত্যা শুরু হয়েছিল৷ ৮০ বছর আগের সেই সম্মেলনের কথা স্মরণ করেই আজ এই আহ্বান জানিয়েছেন দুই দেশের রাষ্ট্রদূত৷
জাতিসংঘের এই প্রস্তাবে ইহুদিবিদ্বেষ এর সংজ্ঞা এবং এ বিষয়ে আরো শিক্ষা ও সচেতনতা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া যারা হলোকাস্টকে অস্বীকার করে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে৷
জার্মানি কখনো ভুলবে না
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, ‘‘নাৎসি আমলে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যারা কর্মরত ছিলেন তারাও ওই গণহত্যা এবং অপরাধের অংশীদার৷'' তিনি হলোকাস্টে নিহতদের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘‘তাদের সাথে জার্মানি কি করেছে তা আমরা কখনোই ভুলবো না৷''
১৯৪৫ সালের ২৭ জানুয়ারি সোভিয়েত সৈন্যরা আউশভিৎস নাৎসি শিবির মুক্ত করেন৷ এই দিনটি আন্তর্জাতিক হলোকাস্টে স্মরণ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে৷
এপিবি/কেএম (এপি, এএফপি, রয়টার্স)