‘জাতিসংঘের তদন্ত অনাবশ্যক’
১২ এপ্রিল ২০১৭মঙ্গলবার জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও কূটনীতিকদের এই কথা বলেন তুন৷ তিনি বলেন, জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল তদন্ত করতে যে আন্তর্জাতিক মিশন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা পরিস্থিতি সামাল দিতে মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে৷ তুন বলেন, সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ‘সহায়তা দরকার, বাধা নয়'৷
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের হত্যা, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া ও রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে৷ নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ৭০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে গেছে৷ আরও প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাড়িঘর ছেড়ে অন্য স্থানে চলে গেছে৷
মিয়ানমার সরকার অবশ্য এই অভিযোগ অস্বাকীর করে আসছে৷ নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি গত সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা ‘নিধন' করছে, এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ বরং তিনি দাবি করেছেন, রাখাইন রাজ্যে ‘‘মুসলমানরাই মুসলমানদের হত্যা করছে৷''
সু চি বলেন, ‘‘আমি মনে করি না যে, সেখানে (রাখাইনে) জাতি নিধন করা হচ্ছে৷ আমার মতে, একটি জাতিকে নিধন করা হচ্ছে বলাটা, সেখানে যা হচ্ছে, অর্থাৎ (প্রকৃত) পরিস্থিতির তুলনায় অনেক বাড়িয়ে বলা৷''
রাখাইন রাজ্যের সমস্যা পর্যবেক্ষণে সরকার বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করেছে৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এসব কমিটির কাজ বিশ্বাসযোগ্য নয়, কারণ কমিটির সদস্যরা স্বাধীন নন৷
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বসবাস করেন৷ সেদেশের সরকার এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করে আসছে৷ ফলে তারা কার্যত এক দেশহীন জাতিগোষ্ঠী, যারা মিয়ানমারের সাধারণ নাগরিকরা যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন, তার অধিকাংশ থেকেই বঞ্চিত৷
জেডএইচ/এসিবি (এপি)