1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘জলবায়ু জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা

২ মে ২০১৯

বিশ্বে প্রথমবারের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ব্রিটিশ সংসদ৷ আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3Hnmm
ছবি: Reuters/P. Nicholls

লন্ডনে আন্দোলনকারীদের টানা দেড় সপ্তাহের বিক্ষোভের পর প্রতীকী ‘পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে ব্রিটিশ সংসদ৷ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিলেন বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি কর্বিন, যা বিনা ভোটেই পাস করেছে সংসদ৷

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ছয় মাসের মধ্যে টেরেসা মে সরকারকে যুক্তরাজ্যের প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ, বর্জ্য বিহীন অর্থনীতি গড়ে তুলতে সংসদে একটি প্রস্তাব পাঠাতে হবে৷ তবে এই উদ্যোগটির কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই৷

যুক্তরাজ্যের আদালতে বিরোধী দলের এ ধরনের প্রস্তাব সাধারণত নীতি প্রণয়নে তেমন কোনো ভূমিকা রাখে না৷ তবে বিশ্বে প্রথম কোনো সংসদে জলবায়ু জরুরি অবস্থা ঘোষণা হওয়ায় এটি আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে৷

এর আগে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবিতে গত মাসে লন্ডনে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ সড়ক, রেল বন্ধের পর হিথ্রো বিমাবন্দর বন্ধের হুমকিও দিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা৷ টানা দেড় সপ্তাহের এই আন্দোলন থেকে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণাসহ ২০২৫ সালের মধ্যেই গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা৷

সংসদে কর্বিন বলেছেন, যাঁরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেশি ক্ষতির ঝুঁকিতে আছেন, তাঁদের কথা সংসদ সদস্যদের বিবেচনায় নেয়া উচিত৷ সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি নিয়ে তরুণরা রাজনীতিবিদদের চেয়েও এগিয়ে আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷

প্রস্তাবটি উত্থাপনের আগে দেয়া বক্তৃতায় কর্বিন সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘আমরা তোমাদের কথা শুনছি, এটি বলার সুযোগ আজকে আমাদের সামনে এসেছে৷ আমাদের সুযোগ এসেছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণায় বিশ্বের প্রথম সংসদ হওয়ার৷ আমি আশা করছি, আমরা সারা বিশ্বের সংসদ ও সরকারগুলোর জন্য একটি  কাজের ধারা প্রতিষ্ঠা করতে পারব৷''

বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে বেঁধে রাখতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি, যার জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা ২০১০ সালের চেয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে৷  

এদিকে ‘দ্য কমিটি অন ক্লাইমেইট চেঞ্জ’ নামের একটি আলাদা সংস্থা ব্রিটিশ সরকারকে আরো বাড়তি পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়েছে৷ তারা বলছে, যুক্তরাজ্যকে নতুন নীতি তৈরি করতে হবে, যার মাধ্যমে মানুষের ঘর উষ্ণ করার পদ্ধতি থেকে শুরু করে খাদ্যাভ্যাস পর্যন্ত সবকিছুই বদলে ফেলতে হবে৷ মাংস ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমানো, কৃষি উৎপাদনে পরিবর্তন আনা ও  ২০৩৫ সালের মধ্যে শুধু বিদ্যুৎ চালিত যান চলাচল নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে তারা৷ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সীমিত করতে সরকারকে এসব উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে বলে মনে করে সংস্থাটি৷

এফএস/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য