1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিপাইন্সের জেলে

১৯ মে ২০২১

করোনা মহামারির ফলে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষের রুটিরুজিতে টান পড়ছে৷ ফিলিপাইন্সের এক প্রত্যন্ত দ্বীপের জেলেরাও এই সংকটের ধাক্কা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন৷ সামান্য সঞ্চয় তাদের কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3ta2L
Philipinen - Vorbereitungen wegen Typhoon Nock-Ten
ছবি: Getty Images/AFP/C. Sayat

ফিলিপাইন্সের কামোটেস দ্বীপপুঞ্জে মাঝরাত থেকে বৃষ্টি পড়ছে৷ তাই নৌকা নিয়ে বের হওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক৷ ফলে জেলেদের মাথায় হাত৷ কোলিন সেরানিয়ানা ২৫ বছরেরও বেশি সময় থেকে মাছ ধরছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা জেলেরা আবহাওয়ার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করছি৷ পূবের দমকা বাতাস এতক্ষণে সরে যাওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু সম্ভবত মার্চ মাস পর্যন্ত এই বাতাস বইতে থাকবে৷ গত বছর সেই সময়েই থেমেছিল৷ আবহাওয়া আর আগের মতো নির্দিষ্ট ধারা মানছে না৷''

সাধারণত জানুয়ারি মাসেই বর্ষার মরসুম শেষ হতো৷ ফেব্রুয়ারি ছিল বছরের অন্যতম শুকনা মাস৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবকিছু বদলে গেছে৷ আবহাওয়ার উপর কড়া নজর রেখে  জেলেদের সেই অনুযায়ী কাজ করতে হচ্ছে৷

জলবায়ু পরিবর্তনে জেলেদের ক্ষতি

কোলিন সেরানিয়ানার চার সন্তান৷ দুই জন বড় হয়ে নিজেদের পথ বেছে নিয়েছে৷ তার স্ত্রী জোসলিন জানালেন, মাছের জোগান কখনো কমে গেলেও তারা ছেলেমেয়েদের মানুষ করতে পেরেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘সমুদ্র থেকে আমরা যা পাই, তাই আমাদের খাদ্য ও আয়ের উৎস৷ সেই অর্থ দিয়েই সন্তানদের স্কুল-কলেজে পাঠাতে পেরেছি৷ তা নিয়ে আমার যথেষ্ট গর্ব রয়েছে৷ আমার স্বামী ও আমি কোনোদিন স্কুলে পড়ি নি৷ কারণ আমাদের সময়ে সেটা সম্ভব ছিল না৷''

বেলার দিকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলো৷ কোলিন দুটি বড় মাছ ধরলেন৷ তিনি রেড স্ন্যাপার মাছটি বিক্রি করবেন৷ সেটির ওজন পাঁচ কিলোরও বেশি৷

ভাগ্য ভালো থাকলে তিনি দিনে ১৫ কিলো মাছ ধরতে পারেন৷ পরিবারের জন্য সব সময় কিছুটা রেখে পাড়ার লোকের কাছে বাকিটা বিক্রি করা হয়৷

মহামারির আগে তিনি এক ব্যবসায়ীর কাছে মাছ বিক্রি করতেন, যিনি পাইকারি বাজারে সরবরাহ করেন৷ তাতে মুনাফা হতো৷ কিন্তু আপাতত বাজার বন্ধ রয়েছে৷ প্রতিবেশীদের অত বেশি দাম দেবার সামর্থ্য নেই৷

জোসলিন বিক্রিবাটার হিসেব রাখেন৷ কিছু টাকা বেঁচে গেলে তিনি এক সেভিংস ক্লাবে সেগুলি জমা রাখেন৷ জোসলিন বলেন, ‘‘সেভিংস ক্লাব আমাদের কাছে ব্যাংকের মতো৷ আমাদের দ্বীপে কোনো ব্যাংক নেই৷ তাই আমরা এভাবে মানুষকে সঞ্চয় করতে শেখাই৷''

পিলারের বেশিরভাগ মানুষই পেশায় জেলে৷ সেখানে অন্য কোনো কাজের তেমন সুযোগ নেই৷ প্রায় চার বছর আগে স্থানীয় সেভিংস ক্লাব গঠন করা হয়েছিল৷

ইওয়াখিম এগার্স/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য