1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু ঝুঁকিতে বাংলাদেশের দুই কোটি শিশু

২৩ অক্টোবর ২০১৯

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সব থেকে ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের এক কোটি নয় লাখেরও বেশি শিশু, যাদের এক-চতুর্থাংশের বয়স পাঁচ বছরের কম৷

https://p.dw.com/p/3RmFk
BdTD Bangladesch Rohingya Flüchtlinge, Ukhia
ফাইল ফটোছবি: Getty Images/AFP/M. uz Zaman

বন্যা এবং নদী ভাঙনের কারণে অনেক পরিবারকে শহরের বস্তিতে গিয়ে গাদাগাদি, ঠাসাঠাসি করে বসবাস করতে হচ্ছে৷ সেখানে তারা স্বাস্থ্যকর খাবার, শিক্ষা, পর্যাপ্ত স্বাস্থসেবা, স্যানিটেশন এবং নিরাপদ খাবার পানির সংকটে থাকেন৷

এসব বস্তিতে বসবাকারী শিশুরা অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে৷ সেখানে শিশুশ্রম, বাল্যবিয়ে, সহিংসতা ছাড়াও শিশুদের উপর বিভিন্ন ধরনের নিপীড়নের শিকার হতে হয়৷

ইউনিসেফের 'দ্য স্টেট অফ দ্য ওয়ার্ল্ড চিলড্রেন ২০১৯, চিলড্রেন, ফুড এবং নিউট্রেশন, গ্রোয়িং ওয়েল ইন এ চেঞ্জিং ওয়ার্ল্ড' শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে৷

প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খরা ও বন্যায় বাংলাদেশের কৃষিখাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ দেশটির ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ কৃষির উপর জীবিকা নির্বাহ করে৷

‘‘এর অর্থ এই যে, দরিদ্র পরিবারের শিশুদের ক্ষুধায় মুখে পড়ার ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে৷ খাদ্য উৎপাদন কম হওয়ার দাম বেড়ে যায় এবং দরিদ্র পরিবারগুলোর উপর এর বিরূপ প্রভাব পরে৷''

ইউনিসেফ বলছে, পরিবর্তিত জলবায়ু পরিস্থিতি, অপরিকল্পিত নগরায়নসহ নানাবিধ কারণে শিশুসহ তাদের পরিবারের মধ্যে হেপাটাইটিস এ, কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া জ্বরসহ বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছে৷

মেঘনা নদী ভেঙে ঘরবাড়ি ভেসে গেছে রুমানার৷ এরপর স্বামী আলী আকবর, মেয়ে সানজিদা (৩) এবং ছেলে শাহানকে নিয়ে (৯) ঢাকার চলন্তিকা বস্তিতে আসেন তিনি৷ রুমা বলেন, ‘‘যদিও এখানে জীবনধারণের ব্যয় নির্বাহ করতে আমাদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে তবুও আমরা একটু শুকনা মাটিতে পা রাখতে পারছি৷

"এখানে আমার স্বামী মাসে প্রায় সাত হাজার টাকা আয় করেন৷ এদিয়ে আমরা বাসা ভাড়া দেই এবং নিত্যপণ্য কিনি৷ এরপর খুব টাকা আর হাতে থাকে না৷ কিন্তু এখানে আমরা উপার্জন করতে পারছি, যা আমরা আমাদের গ্রামে থেকে করতে পারতাম না৷''

পানির উপর বাঁশের খুটি ও কাঠ দিয়ে বানানো একটি ছোট রান্নাঘর অন্য ১০টি পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হয় রুমাকে৷ তিনি বলেন, আমরা প্রায় প্রতিদিনই মসুর ডাল দিয়ে ভাত খাই, খুব কম সময় মাছ-মাংস খেতে পারি, ছেলে শাহান অপুষ্টিতে ভুগছে৷

এই বস্তিতে নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যকর টয়লেটের কোনো ব্যবস্থা নেই৷ এখানে ঠিকমত বিদ্যুৎও থাকে না৷ ইঁদুর আর পোকামাকড়ের যন্ত্রণায় জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠছে জানিয়ে এনিয়ে খেদ প্রকাশ করেন রুমা৷

বাংলাদেশ সরকার এ বছর জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল এবং অ্যাকশন প্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করতে যাচ্ছে৷ ওই পরিকল্পনায় দরিদ্রতম এবং সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকাদের চাহিদার ভিত্তিতে ক্ষেত্রগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হবে৷ ছাড়া শিশুপুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশনের মত বিষয়গুলো নিশ্চিতের চেষ্টা করা হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন৷

এসআই/কেএম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য