1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জনসনকে টেক্কা দিয়ে হারানো জমি ফিরে পেলেন কর্বিন

২০ নভেম্বর ২০১৯

আগাম নির্বাচনের আগে প্রথম টেলিভিশন বিতর্কের পর প্রধানমন্ত্রী জনসন ও বিরোধী নেতা কর্বিন প্রায় সমান জনসমর্থন পেয়েছেন৷ ব্রেক্সিটের প্রশ্নে দুই নেতা ভিন্ন গতিপথ তুলে ধরেন৷

https://p.dw.com/p/3TMmJ
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও লেবার দলের নেতা জেরেমি কর্বিন
ছবি: picture-alliance/AP/Itv

ব্রিটেনের কোনো নির্বাচন সম্পর্কে পূর্বাভাষ যে কতটা ভুল হতে পারে, গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার তা প্রমাণ হয়ে গেছে৷ তাই জনমত সমীক্ষায় বিরোধী লেবার দলের তুলনায় যথেষ্ট এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও টোরি দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখছেন না৷ অন্যদিকে কর্বিন ব্রেক্সিট-সহ একাধিক বিষয়ে তাঁর দলের বিকল্প গতিপথ তুলে ধরলেন৷

মঙ্গলবার রাতে লেবার নেতা জেরেমি কর্বিনের সঙ্গে প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে জনসন দাবি করলেন যে, একমাত্র তিনিই ব্রিটেনকে দ্রুত ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের করে আনতে পারবেন এবং ২০২০ সালের শেষে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করবেন৷ জনসন মনে করিয়ে দেন, যে তিনিই ইইউ-র সঙ্গে বিচ্ছেদ চুক্তি প্রস্তুত করেছেন৷ ক্ষমতায় ফিরেই সংসদে সেটি অনুমোদন করিয়ে তিনি ৩১শে জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকর করবেন৷ অন্যদিকে কর্বিন ক্ষমতায় এলে নতুন করে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে দরকষাকষি করে দ্বিতীয় গণভোটের মাধ্যমে ভোটারদের রায় নেবার যে অঙ্গীকার করেছেন, তার ফলে ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে জনসন সতর্ক করে দেন৷ লেবার দল আদৌ ব্রেক্সিটের পক্ষে অবস্থান নেবে কিনা, তিনি কর্বিনের দিকে সেই চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন৷ কর্বিন সেই প্রশ্নে জনগণের রায় মেনে নেবার অঙ্গীকার করেন৷

কর্বিন নিজেকে জনসনের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরেন৷ তাঁর দাবি, ৬ মাসের মধ্যে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত গণভোট আয়োজন করে তিনিই ব্রিটেনের মানুষকে তাদের ভবিষ্যৎ বেছে নেবার প্রকৃত সুযোগ দিতে পারেন৷ কর্বিন বলেন, জনসনের ব্রেক্সিট চুক্তি মোটেই জানুয়ারি মাসের মধ্যে কার্যকর করা যাবে না৷ তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে ১২ই ডিসেম্বর ‘ভোট ফর হোপ' বা আশার প্রতি ভোট দেবার আহ্বান করেন৷ জনসন ক্ষমতায় ফিরলে শুধু ধনীদের জন্য করের ক্ষেত্রে ছাড়ের ব্যবস্থা করবেন বলে কর্বিন অভিযোগ করেন৷

প্রায় এক ঘণ্টার টেলিভিশন বিতর্কের পর চালানো জনমত সমীক্ষায় দুই নেতাই প্রায় সমান ফল করেছেন৷ জনসন ৫১ শতাংশ, কর্বিন ৪৯ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন৷ এতকাল পিছিয়ে থাকার পর কর্বিনের জন্য এই ফলাফল অত্যন্ত উৎসাহজনক৷ প্রত্যাশার তুলনায় অনেক ভালো ফল করেছেন তিনি৷ তবে ব্যালট বাক্সের উপর এই বাড়তি সমর্থনের কতটা প্রতিফলন দেখা যাবে, সে বিষয়ে কোনো পূর্বাভাষ পাওয়া সম্ভব নয়৷

ব্রিটেনের দুই দলীয় রাজনৈতিক কাঠামোয় অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নেবার সুযোগ পায় না৷ উদারপন্থি লিবডেম ও স্কটল্যান্ডের জাতীয়তাবাদী এসএনপি পার্টি অনেক চেষ্টা চালিয়েও মঙ্গলবারের বিতর্কে অংশ নেবার সুযোগ পায় নি৷ এমনকি আদালতও সেই আবেদন খারিজ করেছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)