ছোট ও মাঝারি শিল্পকে ঢালাও ঋণ
১৩ মে ২০২০দেশের ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য সুখবর দিলেন নির্মলা। সব চেয়ে বেশি শ্রমিক ছোট ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গেই জড়িত। করোনা পরবর্তী সময়ে এই সব সংস্থা যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য তাদের তিন লাখ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে। এই ঋণের জন্য কোনও বন্ধক লাগবে না। সরকার এর গ্যারান্টি দেবে। আর সব ধরনের সংস্থা এই ঋণ পাবে। এমনকী অতীতে ঋণ নিয়ে যারা পরিশোধ করতে পারেনি, তারাও ঋণ পাবে। করোনা পরবর্তী সময়ে ছোট ও মাঝারি শিল্পের অবস্থা সব চেয়ে সংকটজনক। তাদের হাতে টাকা নেই। ঋণের টাকায় এই ছোট ও মাঝারি শিল্প চালু হলে শ্রমিকরাও বাঁচবেন বলে অর্থমন্ত্রীর দাবি।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মলা। যার ফলে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা লাভবান হবেন। সরকারি সব প্রকল্পের কনট্র্যাক্টরদের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দেবে সরকার। ফলে তাঁদের হাতেও টাকা আসবে ও তাঁরা সরকারি প্রকল্প নির্মাণের কাজ আবার শুরু করতে পারবেন। তার মধ্যে রাস্তা থেকে শুরু করে সব ধরনের নির্মাণকাজ পড়ছে। তাঁদের প্রকল্প শেষ করার সময়সীমাও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এই কনট্র্যাক্টরদের কাছে প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করেন। চাকরিরত কর্মী নন এমন লোকেদের ট্যাক্স ডিডাকটেড অ্যাট সোর্স বা টিডিএস ২৫ শতাংশ কম নেওয়া হবে। আগামী মার্চ পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চলবে। তাতে সাধারণ মানুষ, যাঁরা অসংগঠিত ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজ করে পয়সা পান, তাঁরা সুবিধা পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী ২০ লাখ কোটি টাকার বিশাল প্যাকেজ ঘোষণার পর প্রশ্ন উঠেছিল, অর্থ কোথা থেকে আসবে? নির্মলা জানিয়েছেন, এই প্রশ্নের জবাব তিনি পুরো প্যাকেজ ঘোষণার পর দেবেন। আপাতত তিনি বলেছেন, সরকার এর একটা অংশ ঋণ হিসাবে নেবে। তবে কার কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হবে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।
মোদী তাঁর ভাষণে বিদেশি কোম্পানি ছেড়ে স্থানীয় ব্র্যান্ডের জিনিস কেনার ওপর জোর দিয়েছিলেন। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন, আধা সামরিক বাহিনীর ক্যান্টিনে শুধু স্থানীয় ব্র্যান্ডের জিনিসই রাখা হবে। ১ জুন থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। ভারতে আধা সামরিক বাহিনীর কর্মী সংখ্যা ১০ লাখ। তাঁদের পরিবার ধরলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৫০ লাখ। আর আধা সামরিক বাহিনীর ক্যান্টিনে যদি এই ব্যবস্থা চালু হয় তাহলে, বাকি সরকারি দফতরের ক্যান্টিনেও চালু হওয়াটা সময়ের অপেক্ষা।
জিএইচ/এসজি(পিআইবি)