ছাপাখানায় নির্বাচন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ১৭দিন বাকি৷ তাই সারা দেশে রাত দিন পোস্টার ছাপানোর কাজ চলছে৷ রাজধানীর ফকিরাপুলের ছাপাখানার কর্মচারীরাও কাটাচ্ছেন নির্ঘুম রাত…
নির্ভুল পোস্টার
নির্বাচনি প্রচারের জন্য চাই নির্ভুল পোস্টার৷ তাই ছাপার পর বারবার দেখে নিচ্ছেন ছাপাখানার প্রুফরিডাররা৷ ভুল হওয়া যাবে না পোস্টারে৷ তাই পোস্টারে চোখ বুলাচ্ছেন বারবার৷
আসছে কাগজ
হাজার হাজার কপি পোস্টার ছাপতে প্রয়োজন কাগজের৷ ফকিরাপুলের প্রেস পাড়ার রাস্তায় শুধুই কাগজের ভ্যান৷ কাগজ নিয়ে কর্মচারীরা ঢুকছেন ছাপাখানায়৷
লেমিনেটিং আবশ্যক
প্রতিটি কাগজের পোস্টার তৈরির পর ছাপাখানা থেকেই পাতলা প্লাস্টিকে মুড়ে দেওয়া হয়৷ এই পদ্ধতিকে লেমিনেটিং পদ্ধতি বলা হয়৷ এতে পোস্টার টেকসই ও চকচকে হয়৷ এখানে ছাপা শেষে চলছে লেমিনেটিংয়ের কাজ৷
চলছে কাটাকুটি
শুধু ছাপা হলেই তো চলবে না৷ পোস্টারের আকার-আকৃতি একদম ঠিকঠাক হওয়া চাই৷ নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিয়ম-কানুন ও মাপ অনুযায়ী হতে হবে পোস্টার৷ তাই ছাপার পর কাটাকুটিতেই অধিক মনোযোগ দেন কর্মীরা৷
কাজের চাপে ছাপাখানা শ্রমিক
নির্বাচনি পোস্টার ছাপানোর সুযোগ সব সময় আসে না৷ বছরে একবার বা পাঁচ বছরে একবার জাতীয় নির্বাচনের পোস্টার ছাপার কাজ পড়ে৷ তাই এই সময়টা শ্রমিকদের কাজও একটু বেশি হয়৷ তবে দিন শেষে ওভারটাইম আর বাড়তি বকশিসে এই চাপটুকু হাসিমুখেই মেনে নেন কর্মীরা৷
পোস্টারের স্তূপ
প্রতিদিন ছাপা হচ্ছে লাখ লাখ পোস্টার৷ এক নির্দেশনায় আধুনিক ছাপা মেশিন থেকে বের হয় কয়েক হাজার পোস্টার একসঙ্গে৷ এরপর যাচাই-বাছাই ও কাটাকুটি, লেমিনেটিং শেষে প্রস্তুত হয় পোস্টার৷ এই পোস্টারই ছড়িয়ে পড়বে দেশের নানা স্থানে৷